নিঃসন্দেহে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবেদিত রয়েছেন সংবাদযোদ্ধাদের জীবন মান-সমৃদ্ধির জন্য। কিন্তু তাঁর প্রশাসন-বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আর রাজনৈতিক কর্মীদের একটি বড় অংশ সাংবাদিকদেরকে কোন না কোনভাবে বিপদগ্রস্থ করার জন্য হামলা-মামলার শিকার করছে। চিরন্তন সত্য ইতিহাসবৃত্ত হলো এই যে, ছাত্র-যুব-জনতার রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকে দেশ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য, নিবেদিত থাকেন সংবাদযোদ্ধারাও। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সংবাদযোদ্ধারা সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিবেদিত থাকলেও রাজনীতিকদের অধিকাংশই এখন নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। আর এসময়ে সংবাদযোদ্ধারা তাদের কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখলেই সাগর-রুণি, শামছুর রহমান, হুমায়ুন কবির বালুর মত মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। শিকার হতে হয় হয়রানিমূলক মামলার এবং নির্মম হামলার। গত এক বছরের সাংবাদিক নির্যাতন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। চলতি বছরের ৯ মাসে সেই সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ২০৯ জন সাংবাদিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৫ জন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করায় হুমকি, হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪৫ জন সাংবাদিক। এই ৯ মাসে মোবাইল ফোনে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন ৪০ জন সাংবাদিক। সন্ত্রাসীদের নির্যাতন, হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার বাংলাদেশ-এর বিশেষ জরিপ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ-এর ভিত্তিতে এই সত্য প্রমাণিত।
এমন নির্মম মহামারি করোনাতেও তা থেমে নেই, যা গত ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর কালিকৈর প্রেসক্লাব-এর সভাপতি ও অনলাইন প্রেস ইউনিটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সংবাদযোদ্ধা আইয়ুব রানার বেলায় ঘটেছিলো। বিনা অপরাধে দেশ-মানুষ-মাটির জন্য নিবেদিত সংবাদযোদ্ধাকে একরকম উপযাজক হয়ে গ্রেফতার করে র্যাব-১-এর একটি টিম। কি কারণ ছিলো? জানতে গেলে পাওয়া যায় যে তথ্য, তা হলো- আদিবাসী নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা উসিট ¤্রং এবং তাঁর স্ত্রী রাখাইন রাজ্যের নারী নেত্রী ¤্রারাজা লেইন ওরফে ম্যাম্যা’র সাথে আইয়ুব রানার ফোনে যোগাযোগ ছিলো। তাদের সাথে একজন সংবাদযোদ্ধা হিসেবে আইয়ুব রানার যোগাযোগ থাকাকে কেন রাষ্ট্রদ্রোহ ভাবা হচ্ছে বা কেন নির্মমভাবে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে আইয়ুব রানার মত একজন নিরাপরাধ দেশপ্রেমিককে তা অন্তত আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যেখানে তিনি নিরলস স্বাধীনতার পক্ষে থেকে বর্তমান মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক-এর এলাকা কালিয়াকৈর-এর একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান-সংবাদযোদ্ধা হওয়ার পরও কেন নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ আইয়ুব রানাকে দীর্ঘ ৮ মাস জেলের অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে? প্রশ্নটা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে করছি। কেননা, তিনি বর্তমান বাঙালি জাতির অভিভাবক। আর অভিভাবকের কাছে প্রশ্নের পাশাপাশি স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে চাই অনতিবিলম্বে আপনি নিবেদিত সংবাদযোদ্ধা আইয়ুব রানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে এই মামলা থেকে সম্পূর্ণরুপে অব্যহতির ব্যবস্থা করুন।
এবার আসি আইয়ুব রানার অতিতের রেকর্ড নিয়ে আলোচনায় তিনি নিবেদিত সংবাদযোদ্ধা হিসেবে বরাবরই ছিলেন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আর তাই ১৯৯৩ সালে যেমন সয়েছেন বিএনপি সরকারের নির্যাতন, ২০০১ সালেও সইতে হয়েছে শারিরিকভাবে হামলার আঘাত। আর তারপর এই সরকার-মহাজোট-স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেও সইতে হচ্ছে চরম হয়রানি-মামলা। অবশ্য সেই সাথে আছে পারিবারিক-সামাজিক বিভিন্নরকম ঘাত-প্রতিঘাতও। কিন্তু কেন? নিবেদিত তিনি দেশের জন্য তাই? সাংবাদিক হয়েও কাউন্সিলর নির্বাচন করেছেন তাই? সকল সময় মোসাহেবদেরকে এড়িয়ে শাদাকে শাদা এবং কালোকে কালো বলেন তাই?
আজ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে কখনোই দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হতো না মন্ত্রী পরিষদে-সংসদে। থাকতো না সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নানাভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করার প্রবণতা, তৈরি হতো না গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেতও। এই সেদিনের কথা, সত্য লেখায় ১৫ মার্চ কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ‘মাদকবিরোধী অভিযানে’ আটক দেখানো হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অপরাধে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করে। তবে সাংবাদিকের পরিবার থেকে মাদক পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আর সরকারের সমালোচনা করায় প্রায়ই ঘটছে সাংবাদিকদের টুটি চেপে ধরার চেষ্টা। যা জাতির পিতা থাকলে কখনোই হতো না বলে আমি মনে করি। ঘটনা প্রবাহ বলছে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি সংবাদের লিঙ্ক শেয়ারের কারণে একজন সাংসদের দায়ের করা এক মামলার আসামি হওয়ার পর হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে পাওয়া গেল ৫৩ দিন পর। যদিও বিজিবি-পুলিশ বলছে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবু এখানে তাকে ফেরত পাওয়াটা অন্তত সৌভাগ্য বলতে হচ্ছে, কারণ পৌনে দুই মাস নিখোঁজ হয়ে থাকা কাজলের চির-নিখোঁজের শঙ্কাপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। এই গ্রেপ্তার নাটকের মধ্য দিয়ে অন্তত তার বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তার সমাপ্ত হলো। হুট করে ❛নাই❜ হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা ভর করেছিল এতদিন তার সমাপ্তিতে এখানে আপাত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এলো।
অবশ্য সংবাদযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে বরাবরই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আছি গত ২৫ বছর। লিখে যাচ্ছি অবিরাম। মনে হচ্ছে ছাত্র-যুব-জনতার অধিকার আদায়ের জন্য নিবেদিত থাকতে থাকতে ‘নাই’ হয়ে যেতে পারি আমিও। তাতে কিছু যায় আসে না, ২০০৩ থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্দোলন সংগ্রামের অসংখ্য ছবির জনক কাজল ভাই ‘নাই’ হওয়া থেকে ফিরে এসে জেল খাটছেন দিনের পর দিন। নির্মমতার বিরুদ্ধে লিখলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখলেই যদি জেল খাঁটতে হয়, ‘নাই’ হতে হয়, আমি রাজি সবসময়। একারণেই সংবাদযোদ্ধাদের বিপদে আপদে পাশে থাকি-ছিলাম-থাকবো বরাবরের মত।
আমি মনে করি রাজপথে অন্যায়-অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে থাকার জন্য সংবাদযোদ্ধাদের কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি সচেতন মানুষের রাজপথে থাকারও প্রয়োজন অবিরাম। তারা খুন-গুমবিরোধি প্রচারণাসহ নানা কারণে এই বছর দেশে গুমের ঘটনা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। বলা যায়, শূন্য ছিল সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিখোঁজের ঘটনার আগ পর্যন্ত। এই ঘটনাকে বিজিবি ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময়ে গ্রেপ্তার বলে দাবি করলেও এটা যে গুমের ঘটনা ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সাংবাদিক কাজলের পরিবার শুরু থেকেই বলছিল নিখোঁজ হওয়ার দিনও তিনি অফিস করছিলেন এবং সন্ধ্যায় পৌনে সাতটার দিকে অফিস থেকে বের হয়েছিলেন, যে দৃশ্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় সংরক্ষিত ছিল। তার পরিবার থানা পুলিশের সহায়তা চেয়েও পায়নি। এইধরনের ঘটনাগুলো তার নিখোঁজ হওয়াকে মামলার পর ❛আত্মগোপনে❜ চলে যাওয়ার প্রমাণ করে না। এটাকে পূর্বের আরও অনেক গুমের ঘটনার ধারাবাহিকতারই ইঙ্গিত দেয়। শফিকুল ইসলাম কাজলের নিখোঁজের পর যে মামলার খবর প্রকাশ হয়েছিল সেটা ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এই মামলা করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য। আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছের লোক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা প্রচারণাও আছে।
এই প্রচারণা এবং একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার পর তার হুট করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদনাম হয়েছিল। এখানে কিছু না করেই বদনামের ভাগীদার হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কারণ এই এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস বলে প্রচারিত। তার সাবেক এই পরিচিতি আরও বেশি করে আলোচনায় এসেছে সাংবাদিক কাজলের নিখোঁজের পর থেকেই। নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ( গ্রেপ্তারের পর বহিস্কার) শামিমা নুর পাপিয়ার গ্রেপ্তারের পর তার মুখে অনেকের নাম প্রকাশ হয়েছে- এমন এক সংবাদ প্রকাশ করেছিল দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা। প্রতিবেদনটিতে সাইফুজ্জামান শিখরের নাম সরাসরি ছিল না, তবে ওখানে কয়েকজন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, আমলাসহ আরও অনেকের নাম পাপিয়ার মুখ থেকে এসেছে এমন তথ্য দেওয়া হয়। লক্ষণীয় যে, প্রতিবেদনে মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের নাম উল্লেখ ছিল না। এমনও না যে মাগুরায় জাতীয় সংসদের একটিমাত্র আসন। এই জেলায় দুইটি আসন রয়েছে যার মধ্যে মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, এবং মাগুরা-২ আসনের এমপি বীরেন শিকদার। কিন্তু এখানে আর কারও অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি, এই ইঙ্গিতে আর কেউ সংক্ষুব্ধ হয়নি; সংক্ষুব্ধ হননি ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুষ্টিয়া, রংপুর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনার কোন সাংসদ; হয়েছেন কেবল একজনই, তিনি মাগুরা-১ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঠুকে দেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এবং ফেসবুকে তালিকাগুলো প্রকাশ ও শেয়ারকারী ৩০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই মামলায় যে ৩২ জনকে আসামি করা হয় তাতে সংবাদ শেয়ারকারী হিসেবে আসামি হয়ে যান ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। তারপর? তারপর ‘নাই’ করে দেয়ার চেষ্টা এবং খুঁজে পাওয়ার পর রাষ্ট্রদোহ মামলা। তবু বলবো- পেয়েছি তো জীবন্ত।
সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে ফেরত পাওয়া গেছে- এটা আপাত স্বস্তি। সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কিংবা পুলিশ বলছে বলুক ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন কাজল, ওটা থাকুক তাদের বক্তব্য হয়েই। তার হারিয়ে যাওয়া, দীর্ঘদিন খবর না থাকা, এর আগে ফেসবুকে পাপিয়ার সঙ্গে অনেকের ছবি প্রকাশের ধারাবাহিকতা, নিখোঁজের পর ফেসবুক টাইমলাইনের অনেক কিছু মুছে যাওয়া, ক্ষমতাসীন দলের একজন সাংসদের মামলা, একজন আওয়ামী লীগ নেত্রীর মামলা, তার পরিবারকে পুলিশের অসহযোগিতাসহ যতকিছুই থাকুক তিনি একেবারে ❛নাই❜ হয়ে যাননি এটাই সান্ত¡না। মামলা-হয়রানি-কষ্টের পৌনে দুইমাসের অধ্যায়কে পাশ কাটিয়ে আপাত তাই তাকে সৌভাগ্যবানই বলতেই হচ্ছে! বেঁচে থাকলে যুদ্ধ করা যায়। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল বেঁচে গেছেন; এবার তার যুদ্ধ শুরু হোক, নিজেকে প্রমাণের যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধের জন্য চাই তাঁর মুক্তি, নিঃশর্ত মুক্তি চাই দেশ-মানুষ-মাটির মঙ্গলের জন্য। যেভাবে হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যহতি চাই সংবাদযোদ্ধা আইয়ুব রানার মত শত শত সংবাদযোদ্ধার। তারা রাজনীতিকদেরকে কালো থেকে আলোর পথ দেখান, সেই আলোর পথিকদেরকে কোনভাবেই আর হয়রানিমূলক মামলা বা হামলার মুখোমুখি দেখতে চায় না নতুন প্রজন্মের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মীরা...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি