লালমনিরহাটে পুর্নিমা রায় (২৬) নামে এক গৃহবধূকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মধুরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ধর্ষিতা গহবধূ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় চন্দনকে আসামি করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে বলে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষিতা পুর্নিমা রায় সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মধুরাম গ্রামের অনন্ত রায়ের স্ত্রী।
ধর্ষক চন্দন চন্দ্র একই গ্রামের শ্রী জগদীশ চন্দ্রের ছেলে এবং লালমনিরহাট ট্যাকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের (টিটিসি) শিক্ষক শ্রী মাধব চন্দ্রের ছোটভাই।
স্বজনরা জানান, স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে ওই গৃহবধূ তার নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। সোমবার স্বামী অনন্ত রায় দুপুরে স্বামী কাজের জন্য বাহিরে থাকার সুযোগে পার্শ^বর্তী বাড়ির চন্দন চন্দ্র তার ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় বাধা দিলে চন্দন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় ও খামচে রক্তাক্ত জখম এবং ব্যাপক মারধর করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে বিকেলে গৃহবধূর ননদ ঘরে ঢুকে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় এবং আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করেন।
তারা আরও জানান, ধর্ষক চন্দনের পরিবারের লোকজন ক্ষমতাশালী হওয়ার কারণে ধর্ষনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ধর্ষক চন্দন ও তার পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে ধর্ষিতা গৃহবধূকে পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে আসে এবং ভিকটিমের কাছ থেকে ঘটনা শুনেন। পরে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মঞ্জুরুল মোরশেদ দোলন জানান, ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি বলা যাবে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে গৃহবধূর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।