‘‘গর্জে উঠো, রুখে দাঁড়াও, ধর্ষণসহ সকল প্রকার অনাচার থেকে সমাজ বাঁচাও’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশে অব্যাহত হারে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ সকল প্রকার সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে দিনাজপুর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে সামাজিক-সাংকৃতিক কর্মীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি মানববন্ধন করেন তারা।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিদিনকার ঘটনা। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে পদে পদে নির্যাতিত হচ্ছে নারী। নারী নির্যাতনের ভয়াবহ দিকটি কত প্রকট হয়ে উঠছে তা প্রতিদিন আমাদের সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে ধরা দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত নারীরা ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অ্যাসিড নিক্ষেপ, শারীরিক নির্যাতন এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের পাশাপাশি হত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। বাড়ছে ব্যাপক মাত্রায় পারিবারিক নির্যাতন। পারিবারিক নির্যাতন রূপ নিচ্ছে ভয়ঙ্কর সহিংসতায়। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধের অভাব দীর্ঘদিনের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা, মানুষের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ হারিয়ে যাওয়া এবং বিচারহীনতার কারণেই ধর্ষণ-গণধর্ষণ বেড়েই চলছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে ধর্ষণ-গণধর্ষণসহ সকল অপরাধ কমে আসবে।
মানববন্ধনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি,দিনাজপুরের আহ্বায়ক মো. সফিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মহিলা পরিষদ দিনাজপুর শাখার সভাপতি কানিজ রহমান, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি জলিল আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি রেজাউর রহমান রেজু, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংগঠন সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবুল, জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বাদল, দিনাজপুর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফা বেগম, মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক জিন্নুরাইন পারু, প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রুবি আফরোজ, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সচিব রহমতউল্লাহ, উত্তর শিবপুরের গণধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার মাতা, মহিলা পরিষদের সদস্য অনামিকা পান্ডে, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য আফসানা ইমু, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আকতার প্রমুখ।