প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল কিশোরী মেয়েটি। পরিবারের এ ‘লজ্জা’ ঢাকতে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করলেন বাবা। খুন করার কাজে বাবাকে সাহায্য করেন কিশোরীর ভাই। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ভারতের উত্তরপ্রদেশের যোগীরাজ্যের শাহজাহানপুর জেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
১৬ বছরের কিশোরী মেয়েটি যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, সে খবর পরিবারের চার দেয়ালে গোপন থাকেনি। সেটা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পরে বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করে। মেয়ের কৃতকর্মে ঘরের বাইরে পা রাখতে ‘লজ্জা’ বোধ করছিল পরিবারের লোকজন। পাঁচ জনের পাঁচ কথা, কটূক্তি কানে আসছিল তাদের।
অবশেষে ধৈর্য হারিয়ে যায় পরিবারের, প্রচণ্ড মারধর করে এবং শেষ পর্যন্ত শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা। বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে উল্টো কিশোরীর ভাইও শামিল হয় পরিবারের ‘সম্মান’ রক্ষায়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীর।
এরপর বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সকার নজর এড়িয়ে মৃত মেয়েকে নদীর তীরে পুঁতে রেখে আসেন বাবা। ভেবেছিলেন, কেউ কিছু জানতে পারবে না। কিন্তু পুলিশের কানে পৌঁছে যায় সে খবর। পুলিশ আটক করে বাবা ও তার ভাইকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ের খুনের কথা স্বীকার করেন বাবা। জানান, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল।