গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা দেবদুলাল বসু পল্টু।
বুধবার দেবদুলাল বসু পল্টুর পক্ষ থেকে তার ভাগ্নে স্কুল শিক্ষক অনিকেত পান্ডে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবার হাতে নগদ ৫হাজার টাকা ও বিভিন্ন প্রকার ফল তুলে দেন। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ও এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি দাবি করেন।
অপরদিকে আগামীতেও দেবদুলাল বসু পল্টুৃ এই পরিবারটির পাশে থাকবেন বলে তার ভাগ্নে স্কুল শিক্ষক অনিকেত পান্তে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটির সদস্যদেরকে আশ^াস প্রদান করেন।
জানাগেছে, শনিবার (৩অক্টোবর) সকাল ৯টায় উপজেলার মেধাবিকাশ ডিজিটাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে স্থানীয় চৌধুরীর হাটে খাতা কলম কিনতে যায়। এ সময় পূর্ণবর্তী গ্রামের মহসিন হাওলাদার খনুর ছেলে ঢাকার একটি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র আলী হোসাইন ও একই গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদার ঠান্ডার ছেলে মাসুদ হাওলাদার তাকে ভয় দেখিয়ে ধারাবাশাইল গ্রামে অবস্থিত ইব্রাহিম হাওলাদার ঠান্ডার মাছের ঘেরপাড়ে নিয়ে যায়। এখানে বসে আলী হোসাইন ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে। সে রাজি না হওয়ায় আলী হোসাইন তাকে মারধর করে। তার মারধরের কারণে একটা পর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রী দূর্বল হয়ে পড়লে আলী হোসাইন তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার বন্ধু মাসুদ হাওলাদার মোবাইল ফোনে এ দৃশ্য ধারণ করে। এই ধর্ষণের কথা কাউকে বললে বা আগামীতে তাদের কথা না শুনলে এই দৃশ্য ফেসবুকে ছেড়ে দিবে বলে ওই স্কুল ছাত্রীকে বখাটেরা হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় গত সোমবার (৫অক্টোবর) ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাকারিয়া বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।