রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধুর স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। গৃহবধুর পরিবারের দাবী হত্যা।
ওই গৃহবধুর নাম ঝর্ণা বেগম (২৫)। সে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী। গৃহবধু ঝর্ণা বেগমের ৫ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বালিয়াকান্দি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) তারিকুজ্জামান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য।
উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে ও নিহতের ভাই রায়হান জানান, ২ বছর পুর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মারধর করতো। গত বছর যৌতুকের সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধ করে দেই। ৩-৪মাস ভালোভাবে সংসার করে। এরপর থেকেই আবার শুরু হয় নানা ধরণের পারিবারিক কলহ। কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আমার বোন ঝর্ণা বেগমকে তার স্বামী আসিফ শেখ বেধড়ক মারধর করে। পরে বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে আনে। তাকে ওয়াশ করে বেডে দেওয়ার পরই মারা যায়। মৃত্যুর কথা শোনার পরই হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও স্বজনরা। মারা যাওয়ার পর আমাদেরকে খবর দেওয়া হয়। আমাদের ধারনা তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমি আমার বোন হত্যার সুষ্টু বিচার দাবী করছি।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শারমিন জাহান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক গৃহবধুকে তাঁর স্বামী ও তার ফুফু শ্বাশুড়ী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। গৃহবধুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তাছাড়া কীটনাশক পয়জনিং ছিলো তাঁর শরীরে। প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয়।
বালিয়াকান্দি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল যাই। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে গৃহবধুর স্বামীকে পাওয়া যায়নি। গৃহবধুর পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।