ঝালকাঠির কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় এক পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে পাশে দাড়িয়েছেন শহরের যুবলীগ নেতা আলোকিত সেই সবির হোসেন। কর্মহীন শ্বশুর ও জামাতাকে কিনে দেয়া হয়েছে সবজি বোঝাইি ভ্যানগাড়ি। আর তা ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে এখন থেকে চলবে অসহায় পরিবাটির জীবন-জীবিকা। একের পর এক মানবিক কাজ করে আলোচনায় আছেন তিনি।
ঝালকাঠির উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের বাড়ইগাতি গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ মোবাক্ষের মীরের দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে সীমাহীন দারিদ্রতার সাথে দিল কাটছিল। বৃদ্ধের অপর দুই ছেলে-মেয়েরও আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য জোটেনা। ফলে চরম অনাটনে দিশেহারা হয়ে পড়ে এ পরিবারটি। আর তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঝালকাঠির সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। শ্বশুর ও জামাতার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেন। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে একটি তরকারী বোঝাই ভ্যান কিনে দিয়েছেন। কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা পেয়ে অসহায় বৃদ্ধ দারুণ খুশি। আর সমাজ সেবক যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন বলেন, এক মাসের চাল ডাল কিনে দিলে অভাব দূর হত না। তাই স্থায়ী ভাবে অসহায় পরিবারটির দারিদ্রতা দূর করার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করেছি। সমাজের বিত্তবানদের এমন কাজে এগিয়ে আসতেও তিনি আহ্বান জানান।
এর আগে ঝালকাঠির ফুটপাতের নারী মুচি নারী মুচি সবিতা রানীকে এক লাখ টাকা ব্যয় করে নতুন দোকান ঘর আর নতুন জুতা স্যান্ডেল দিয়ে পুর্নবাসিত করেন আলোকিত সমাজ সেবক ছবির হোসেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে যখন কীট সংকটে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে পড়েছিলো ঠিক সে সময় এক হাজার একশ কীট দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি শহরের পূর্বচাঁদকাঠী এলাকার এই সমাজ সেবক ঠিকাদার ছবির হোসেন করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে নিরবে অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা, অসহায় বৃদ্ধাকে ঘর নির্মাণ সহ একের পর এক আলোচিত কাজ করেই যাচ্ছেন।