সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দলীয় টিকেট পেয়েছেন রুহুল আমিন লিটন এবং আওয়ামী লীগের টিকেট পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান। উন্নয়ন প্রশ্নে দুই প্রার্থীকে একই ভাবছে জনগণ। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সাথে সরকারে আছে জাতীয় পার্টি। তাই যে কোন একটি দলের প্রার্থী জয়লাভ করলে উন্নয়ন একই ধারায় হবে। তাই চন্দনপাট ইউনিয়নের জনগণের মুখে মুখে প্রশ্ন লিটন নাকি আমিনুর? কাকে বেছে নেবো। প্রশ্নটি চন্দনপাট ইউনিয়নের সচেতন জনগণের মুখে মুখে খুব চাউর হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চন্দনপাট ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে জনগণের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। পুটিমারী এলাকার সোলায়মান নামের একজন ভোটার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও রুহুল আমিন লিটন একই ঘরের সন্তান। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সরকারে আছে। এখানে এমপি জাতীয় পার্টির এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের। সুতারাং জনগণ কাকে বেছে নেবে সেটা তাদের একান্ত গোপন সিদ্ধান্ত। তবে লোকমুখে রুহুল আমিন লিটনের নাম বেশী শোনা যায়। অন্যদিকে শ্রীরামপুর এলাকার চাল ব্যবসায়ী আরিফ মিয়া বলেন, এখানে লাঙ্গল ও নৌকা মার্কার মধ্যে লড়াই হবে। হামরা নৌকাত ভোট দেই। এবারও নৌকাত ভোট দেমে কায় কী করে করুক। প্রায় একই রকম কথা বলেন ইশ্বরপুর গ্রামের রিনা বেগম, তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে আমিনুর রহমান খুব ভালো। আমরা তাঁর কাছে একটি পারিবারিক সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি সময়ক্ষেপন না করে দ্রুত সমাধান করে দিয়েছেন। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পরিবারসহ আমিনুরের নৌকা মার্কায় ভোট দেবো। লাহড়ীর হাট বাজারের কাছে বাসা রুবিনা আক্তার নামের একজন সদ্য বিবাহিত গৃহবধু জানান, এবার দলীয় প্রতিকে ভোট হচ্ছে। দুই দলের প্রার্থী আছে। এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি কাকে ভোট দেবো। ভোটের দুই দিন আগে যার পক্ষে এক সুর উঠবে তাকে ভোটের রায় দেবো। কারণ আমার প্রথম ভোট পঁচাতে চাই না। লিটন-আমিনুরের বাইরে আরো চারজন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন তারা হলেন, বিএনপির মেরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের দিলকাদুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন চৌধুরী ও শহিদার রহমান। উপজেলা নিবাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, চন্দনপাট ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৮শত ৫৩টি। ভোট কেন্দ্র ১৩টি এবং ভোট কক্ষ ৭২টি। ২০ অক্টোবর ভোট গ্রহণ করা হবে। চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।