নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে বাড়িতে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার আসামি কালামকে ৩ মামলায় ১০ দিন ও সাহেদকে ১ মামলায় ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিৎ করে বলেন, নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেগমগঞ্জ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক ৩ মামলায় কালামকে ১০ দিন ও ১ মামলায় সাহেদকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। এনিয়ে এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেফ্রতার করা হয়েছে।
এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর ২টি মামলা করেন। পরে ৬ তারিখ রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানায়।
মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাপের বাড়িতে তার স্বামী তার সাথে দেখা করতে যান। রাত ৯টার দিকে শয়ন কক্ষে স্বামী স্ত্রী একসাথে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা সহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে আসামিরা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আসপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতা নারী জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে থাকা অবস্থায় আসামিরা মুঠোফোনে তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে অশ্লিল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুঠোফোনে ধারণকৃত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।