ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দরে বিওসিঘাট এলাকায় রেলওয়ের জায়গা ইজারা নিয়ে দুইমন্ত্রনালয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় দুই দফা ঘটনাস্থল বিওসিঘাট এলাকায় এসেও রেল কর্তৃপক্ষ ইজারা প্রাপ্ত আসিফুর রহমানকে ইজারকৃত জায়গা বুঝিয়ে দিতে পারেননি বিআডব্লিটিএর বাধার কারণে।এ নিয়ে দুটানায় দুই ইজারাদার।
রেলওয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট সুত্র জানায়,দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দরে বিওসিঘাট এলাকায় রেলওয়ের জায়গা ইজারা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন।অনেক চেষ্টার পরও কোন লোক ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন না করায় রেল কর্তৃপক্ষ আশুগঞ্জের বিওসিঘাট এলাকা রেলের জায়গা ইজারা দিতে পারেননি।২০২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দরে বিওসিঘাট এলাকায় রেলওয়ের জায়গা ইজারা উদ্যোগ নিয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়এটন্ডার মোতাবেক আশুগঞ্জে আসিফুর রহমান নামে এক ভদ্রলোক ইজারা পায় গত ২০.০৬২০২০ তারেিখ। টেন্ডার মোতাবেক ইজারা বুঝিয়ে দেওয়ার গত সেপ্টেম্ভও এবং বৃহস্পতিবার ৮ অক্টোবর আশুগঞ্জ বিওসিঘাট এলাকায় আসলে বিআইডব্লিউিটিএর আশুগঞ্জের লোকজন বাধা দেওয়ার কারণে ইজারাকৃত জায়গা আসিফুর রহমানকে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে নৌমন্ত্রনালয় এবং রেল মন্ত্রনালয় একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবতী কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে রেল ভুসম্পদ বিভাগের কাননগো মো.ইকবাল হোসেন জানান।ইজারা প্রাপ্ত আশুগঞ্জে আসিফুর রহমান বলেন,সিএস এবয় আরএস অনুযায়ী এই জায়গা রেলের এবং আমি বৈধভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিওসিঘাট এলাকা ইজারা পেয়েছি।বিআইডব্লিউিটিএ এখানে এসে কোন কারণ ছাড়াই ঝামেলা করছে।আমি চাই লে কর্তৃপক্ষ দ্রুত আমার ইজারাকৃত জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। আমি শান্তিপুর্নভাবে আমার ইজারা বুঝে পেতে চাই।কোন এদিকে লঞ্চঘাট ইজহারদার ইমরান মোল্লা বলেন,গত ১৯৭৫ সালথেকে লঞ্চঘাট ইজারার মাধ্যমে বিওসিঘাট পর্যন্ত আইন মোতাবেক শুল্ক আদায় করে আসছে।হঠাৎ করে রেল কি করে এই জায়গা নতুনভাবে ইজারাদেয় এটা আমার বুঝে আসছে না।তারপরও দুইমন্ত্রনালয় বসে যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আমি মেনে নিব।