জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নে জোড়া লাগা শিশুর জন্ম হয়েছে। ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যদুনাথ পাড়ার আমিন আলীর ছেলে লাল মিয়া দম্পত্তির ঘরে জন্ম গ্রহন করে ওই জোড়া লাগা জমজ শিশু। শিশুরা বেড়ে ওঠার সাথে তাদের বাড়ছে নানান চাহিদা। একজনের সাথে অপরজনের মিলছে না কোন কিছুতেই। তাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল নীলফামারীর জলঢাকা ডে-নাইট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহন করে লাবিবা ও লামিসা দুই জমজ বোন। চার হাত,পা, মাথা আলাদা থাকলেও, সম্পর্ক রয়ে গেছে দেহের সাথে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নানান চাহিদা। একজনের সাথে অন্যজনের নেই কোন কাজের মিল। একজন দাঁড়ালে অপরজন চায় বসতে। আর কেউ ঘুমালে অন্যজনের কান্নায় ভেঙ্গে যায় ঘুম। জন্মের পরেই তাদের মলদার না থাকায় নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তাদের পেটের পৃথক ভাবে গড়ে দেয়া হয় মলদ্বার। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা অস্ত্রোপচার করলে তাদের দেহকে করা যাবে আলাদা। কিন্তু খরচ করতে হবে অনেক টাকা। অসহায় পরিবারটি অর্থভাবে দিতে পারছে না লাবিবা ও লামিসার চিকিৎসা। সন্তানদের সামলাতে গিয়ে মা মনুফা বেগম হয়ে পড়েন অসুস্থ্য। বাবা লাল মিয়া রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও বাচ্চা সামলাতে হয় অনেক সময়, যার ফলে যেতে পারে না কাজে। এ অবস্থায় সন্তাানদের অস্ত্রোপচার করতে বিত্তবান ও সরকারের কাছে সহায়তা ছাড়া তার কোন উপায় নেই। এখন লাবিবা ও লামিসার পরিবারে শুধু অন্ধকারের ধোঁয়া। অর্থ সহায়তা পেলে হয়তো তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে হতে পারে আলাদা। বেড়াতে পারে নিজেদের খেয়াল খুশিমত। মুখে হাসি ফুটবে ওই শিশুর মা বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের।
লাবিবা ও লামিসার চিকিৎসার বিষয় জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা.জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিশু দুইটির ছবি দেখে বুঝলাম উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের আলাদা করা সম্ভব। তবে অত্যন্ত ব্যয় বহুল এ অপারেশন। এ ব্যাপারে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, বিষয়টি এখন জানলাম, তাদের উন্নত চিকিৎসা যাতে হয়, সে ব্যবস্থার চেষ্ঠা করবো আমি।