চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ্উপজেলার পাহাড়ে ও সমতল ভূমিতে উন্নত জাতের পেঁপের চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। বসতবাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো ২/১টি পেঁপে গাছ চোখে পড়লেও বর্তমানে পাহাড়ি ভূমিতে এখন অনেক পেঁপে গাছ চোখে পড়ার মতো। চন্দনাইশ হাশিমপুর এলাকার চাষী আয়ুব আলী বলেন, তিনি এক কানি বা ৪০ শতক পাহাড়ি ভূমিতে উচ্চ ফলনশীল ‘রেডলেডি’ জাতের পেঁপের চাষাবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তার বাগানের ৩ শতাধিক গাছে ফলন ধরেছে। তিনি আশা করছেন, চলতি মৌসুমে বাগানে প্রচুর পেঁপের ফলন হয়েছে তাতে সবকিছু টিকটাক থাকেলে ভাল লাভবান হাওয়া যাবে বলে আশা পোষণ করেন। পেঁেপ পাকা ছাড়াও সবজি হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে বলে কাচাঁ পেপের ও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল। এ পর্যন্ত তিনি তিন লাখ টাকার কাঁচা পেপেঁ বিক্রি করেছেন। এখন আয়ুব আলী কাচার পাশাপাশি পেঁেপ পাকা শুরু হওয়ায় ফল তোলা শুরু করে দিয়েছেন। চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী তাদের পাহাড়ি টিলায় প্রায় ২ একর জমিতে রেডলেডি পেঁপে চাষ করেছেন। তার বাগানে ইতোমধ্যে উচ্চ ফলনশীল রেডলেডি পেঁেপ পাকতে শুরু করেছে। তিনি এর মধ্যে শহরের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যে পেপেঁ বিক্রি করেছেন। এভাবে চলবে আরো দুই তিন মাস। জব্বার চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁপে চাষে মানুষের ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। এ এলাকা মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপের চাষাবাদে ঝুঁকছেন পাহাড়ের প্রান্তিক চাষিরা। পেপেঁর ফলন আশানুরূপ হওয়ায় দিনদিন চাষাবাদের পরিমাণও বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে অনেতেই পাহাড় কিংবা সমতল ভূমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেচেঁর চাষাবাদ করতে পারেন। এতে করে বেকার যুবকদের কর্মস্থানের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন সাধিত হবে। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন চন্দনাইশের হাশিমপুর ,দোহাজারী লালুটিয়া,ধোপাছড়ি পাহাড় ও সমতল এলাকায় পেপেঁর চাষাবাদ করেছেন অনেকেই। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পেঁপে উৎপাদন ভাল হয়েছে। কৃষকেরা পেঁপের ভাল দাম ও পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।