বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে যৌতুকের দাবীতে স্বর্না খাতুন (১৮) নামের এক নব বধুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছে।
রোববার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে স্বর্না খাতুন পাশের কালিশ গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে খায়রুলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বর্না খাতুন তার স্বামীর বাড়িতে ঘর সংসার শুরু করে। গত কয়েকদিন আগে থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। রোববার সকালে স্বর্নার বাবা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে যৌতুক বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনার জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য্য করে বাড়ি ফিরে যান।
বেলা ১১ টার পর তাকে ফোন করে জানানো হয় স্বর্না খাতুন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এখবর পেয়ে তিনি মেয়ের বাড়ি গিয়ে মরদেহ দেখতে পারেন। তার মেয়ের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। আনোয়ার হোসেন বলেন ৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে তার মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর বলেন, স্বর্নাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী খায়রুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি নাদিরা বেগমকে আটক করা হয়েছে।