ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই অস্ত্র মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।
রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ সেলিম মিয়ার আদালতে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত পৃথক দু’টি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য তাদের হাজির করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌশুলী দুলাল সরকার বলেন, অস্ত্র আইনে ১৯ এর এ/২১/২৩ ধারায় দায়েরকৃত দু’টি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এরমধ্যে ১৩/২০ নম্বর মামলার আসামি হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। এ ছাড়া ১৪/২০ নম্বর আরো একটি মামলায় আসামি হচ্ছেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও তার সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল।
সরকারী এই কৌশুলী আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী আসামীদের অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জানতে চাওয়া হয় তারা দোষী না নির্দোষ। জবাবে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। আদালত মামলার সাক্ষ্য শুনানীর জন্য ১৩/২০ নম্বর মামলায় ২৭ অক্টোবর ও ১৪/২০ নম্বর মামলায় ২ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন।
মামলার আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৩ ও ১৪ এর আসামি হিসেবে বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে ১৯ এর ‘এ’ এবং ‘এফ’ ধারায় এবং একইসাথে ২১ এবং ২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এই মামলা হতে অব্যাহতির আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন রাতে শহরের বদরপুর হতে ৯ জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও রুবেলকে। এ সময় তাদের নিকট হতে নগদ টাকা, মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন মালামালসহ ম্যাগজিন ও গুলিসহ সাতটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। পরেরদিন ৮ জুন কোতোয়ালি থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন ও এসআই আবদুল জব্বার বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। এ দু’টি মামলার তদন্ত শেষে ২৭ জুন ও ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়।