প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এই ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষন,আহরন, পরিবহন, বাজারজাত করন ও মজুদকরন নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সময়ে জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছে ৫২ হাজার জেলে। এ সময়ে সরকারি সহায়তা বাড়ানোরসহ মোবাইলের মাধ্যমে নগদ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এদের অধিকাংশই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। মা ইলিশ রক্ষায় এ সময় বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অন্য কোথাও থেকে বরফ আসতে না দেওয়া নদী সংলগ্ন খাল থেকে নৌকা বের হতে না দেয়া,মাছঘাট সংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ¦ালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ বছরও বিশেষ তদারকি করবে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। অন্যান্য বছরের মতোনিষিদ্ধ এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
জেলেরা জানান,তারাসরকারী প্রনোদনা সঠিকভাবে প্রকৃত জেলেরা পান না। এ সময়ে বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করার দাবী জেলেরা আরো বলেন,প্রকৃত জেলেদের মধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাউল বন্টনসহ তাদের জন্য সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানোসহ মোবাইলের মাধ্যমে নগদ অর্থের দেওয়া হোক।
এ দিকে স্থানীয় জন প্রতিনিধি,ব্যবসায়ী,জেলে ও আড়ৎদাররা জানান,জাটকা সংরক্ষন ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার যে নিষোজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবেনা বলে ঘোষনা দিয়েছেন তারা। জেলেদের পূর্নবাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। যে পরিমান জেলে রযেছে, সে পরিমান সরকারী খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিলাল হোসেন জানান, ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকাওে ২২ নিষোধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময মাছ শিকার,পরিবহন,মজুদ ও বাজারজাতকরন অথবা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিদিন নদী মৎস্য বিভাগ,জেলা প্রশাসন ও কোষ্টগার্ডের যৌথ অভিযান চলবে। এ আইন আমান্য করলে ১ থেকে ২ বছরের জেল অথবা জরিমানা এবং উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুন বেড়েছে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমান ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে,তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।