নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এখলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ১১দিন পর বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন। এসপি বলেন, ওসি হারুনকে বেগমগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, ডিআইজি অফিস থেকে পাঠানো পত্রে ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে ডিআইজি অফিসে যোগদান করতে বলা হয়। মঙ্গরবার সকালে এ আদেশ পাওয়ার পর পরই তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ওসি হারুন মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে নতুন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানান তিনি।
এরআগে, বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কর্তব্যে কোন গাফলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া গেছে কিনা? এবং ওই রিপোর্ট পাওয়া গেলে রিপোর্টের আলোকে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কোন মন্তব্য করেননি এসপি মো. আলমগীর হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকায় এক নারীর (৩৫) সঙ্গে তার আগের স্বামী দেখা করতে তার বাবার বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখেন স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে ঢুকে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তার রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েল জেলায় তথা দেশ ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে বেগমগঞ্জ থানা প্রশাসন ও ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ওসির অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি জানানো হয়।