ফরিদগঞ্জে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবী করা হয় এমন অভিযোগে র্যাব-১১ (সিপিসি-২) কুমিল্লা অভিযুক্ত দুই ধর্ষণকারীকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটির গাও গ্রামের হারুন খানের ছেলে জহিরুল ইসলাম নুরু(৩০)কে তার নিজ বাড়ী থেকে ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আবদুর রহমান রাজিব (২৮)কে কুমিল্লা থেকে আটক করে। এরপর ঘটনার শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে ১৬ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
পরে শুক্রবার সকালে তার প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব কর্তৃক আটককৃত অভিযুক্ত দুই ধর্ষণকারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ জুলাই উপজেলার রুদ্রগাও গ্রামের ঐ গৃহবধূকে তার বসত ঘরে একা পেয়ে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম নুরু ও আবদুর রহমান রাজিব জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় অভিযুক্তরা গোপণে ধর্ষণের ডিভিওচিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ঐ ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে আসছিল তারা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঔ গৃহবধূ ১৪ অক্টোবর র্যাব-১১ (সিপিসি-২) কুমিল্লা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর র্যাব-১১ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের আটকের পর ১৬ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। ঘটনার শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা (নং ২৫, ধারা- ২০১২ সালের পণোগ্রাফি আইন ৮/১১/৮(২)/৮(৩)তৎসহ ৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড তৎসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর০৭/৯(৩)/৩০, তাং ১৬.১০.২০২০) দায়ের করে।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, ঘটনার শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর তার প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব কর্তৃক আটককৃত অভিযুক্ত দুই ধর্ষণকারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।