পুঠিয়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রাক চালক পিটিয়ে হত্যা মামলা নিয়ে ভূক্তভোগি পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। কারণ, হত্যাকাণ্ডের ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও মুল আসামীরে এখনো আটক করতে পারেনি। নিহতের স্ত্রী নারগিস বেগম বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ। আমাদের পরিবারে ৫জন সদস্যের ভেতর একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার স্বামী। আমার স্বামী মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে মারা যায়। ওই রাতে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে ৫ জনকে আটক করে ছিল। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ আটককৃত ৫ জনকে এই হত্যা মামলার আসামি করে জেল-হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে পুলিশ আর কোনো নতুন আসামীকে আটক করতে পারেনি। নিহতের প্রতিবেশী পুঠিয়া পৌর আ.লীগের সভাপতি আবু বকর বলেন, ট্রাক চালক আবু তালেবকে অন্যায় ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারটি উপার্জনকারী কোনো ব্যক্তি না থাকায় তিনজন সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী মানবেতর জীবনযাপন করছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, মামলা তদারকি করার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা মৃত আবু তালেব পরিবারের নিকট নেই। তাই ভূক্তভোগি পরিবার সঠিক বিচার না পাওয়ার সম্ভবনা বেশি। যে ৫জন আসামীদের আটক করা হয়ে তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়নি। কারণ, ২৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি। পুলিশ টাকা ছাড়া একধাপ দেন না। পুলিশ টাকা নিয়ে মুল আসামীদের বাদ দিয়ে অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে বলে আমরা মানুষের মাধ্যমে জানতে পাচ্ছি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে আবু তালেব মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে পুঠিয়া সদরের দিকে আসছিল। পথে ট্রাকের চাপায় ছোট দু’টি ছাগল মারা যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ১০/১২ জনের একটি দল মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকটিকে ধাওয়া করে পুঠিয়ার বাসুপাড়া এলাকায় আটক করে। তারা ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রাক চালক আবু তালেবকে মুমূর্ষ অবস্থায় পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ওই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাশমত আলী বলেন, আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছি। অন্য আসামীদের আটক করার চেষ্টা চলছে। অজ্ঞাতনামা আসামি হতে কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তারা বর্তমানে এলাকায় নেই।