স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ী মিলন হোসেনের কাছে মায়ের কুলখানির জন্য শুক্রবার রাজশাহীর বাঘা বাজার থেকে ৪০ কেজি গরুর মাংস ক্রয় করেন তেপুকুড়িয়া গ্রামের পলাশ হোসেন। সেই মাংস বাড়িতে নিয়ে দেখেন প্রায় ১৫ কেজি মাংস পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। দীর্ঘদিন থেকে রুগ্ন-অসুস্থ ও খাবার উপযোগী নয়, এমন পশুর মাংস ফ্রিজে রেখে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
মাংস ক্রেতা পলাশ হোসেন জানান, তৎক্ষনিক ওই মাংস বিক্রেতাকে ফেরত দিতে যায়। কিন্তু তিনি ফেরত নিতে চায়নি। এনিয়ে বাক বিতন্ডা হলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন তার মাংসের টাকা ফেরৎ দেয়ার মাধ্যমে সমাধান করে দেন।
মাংস ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, পঁচা বা নষ্ট মাংস না, গত হাটে বিক্রি শেষে অবশিষ্ট কিছু মাংস ফ্রিজে রাখা ছিল। সেই মাংস মিশ্রন করায় ক্রেতা মাংস ফেরৎ দিয়েছে। আমি তাকে টাকা ফেরৎ দিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভুগী অভিযোগ করে বলেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে কতিপয় মাংস ব্যবসায়ী প্রায়ঃশই খাওয়ার অনুপোযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসা বাড়িতে ফ্রিজ রয়েছে। স্থানীয় সরকারের ইউনিটগুলোর নিরব ভূমিকার কারণে ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। এদের বিরুদ্ধে আাইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঘা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান পরিদর্শনে যায। সেখানে পঁচা বা নষ্ট মাংস না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে কেউ যেন খাওয়ার অনুপযোগি মাংস বিক্রয় না করে, সে বিষয়ে সকল ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কোন অসাধু ব্যবসায়ী ফ্রিজে রেখে মাংস যাতে বিক্রয় করতে না পারে সেটা তদারকির জন্য ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খাওয়ার অনুপযোগি মানহীন মাংস বিক্রির অভিযোগে ইতঃপূর্বে মিলন হোসেনসহ কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ীর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।