আইপিএল ক্রিকেট খেলাা নিয়ে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে জমে উঠেছে জমজমাট জুয়ার। বিশেষ করে এ খেলায় সম্পৃক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে এ উপজেলার অধিকাংশ যুব সমাজ ও শিক্ষার্থী। অনেকেই এখন নিজের কর্মসংস্থান ছেড়ে জুয়ার পেছনে ঘুরছে। যার ফলে কিছু লোক অল্প দিনের মধ্যে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন।আবার কেউ কেউ নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন।
জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক যুবক নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। যার কারণে এলাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ ও ছিনতাই। জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই নিজের সঞ্চয়কৃত টাকা জুয়ার দানে নিয়ে যাচ্ছেন। একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, নি¤œ আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষিত লোকেরাও জুয়ার সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে স্কুল- কলেজের শিক্ষির্থীরা এ কাজে বেশি জড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই রাতে লেখাপড়া ছেড়ে উপজেলার বিভিন্ন জুয়ার আসরে সময় কাটাচ্ছে।
একটি সৃত্র জানায়, নামিদামি তারকারদের হাতে যখন বল-বা ব্যাট থাকে তখন বলে আমার তারকা এবার চার বা চক্কা মারবেন। চার-চক্কা না পারলে আপনাকে আমি ২০ হাজার টাকা দেব। আর চার-চক্কা করতে পারলে আপনি আমাকে ২০ হাজার টাকা দেবেন।এভাবে ভালো ক্রিকেট খেলোয়ারদের ক্ষেত্রে হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত জুয়া ধরা হয় মোবাইলফোনের মাধ্যমে। এভাবে জুয়া ধরা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিকলী উপজেলা সাতটি ইউনিয়নের ১৩ টি হাট-বাজারসহ বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও বাসায়, নদীর ঘাটে, নৌকায় প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনের জুয়ার আসর বসে। এছাড়াঁও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলেও জুয়ার আসরের ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে।