বকশীগঞ্জে পৃথক পৃথক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার পৌরশহরের একাধিক স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এই নিয়ে পৌর শহরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়ায় রোববার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ। একই দিন মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গণ র্যালির আয়োজন করে বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ। একই দিনে কর্মসূচি দেয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দুই গ্রুপকে নির্ধারিত সময় বেধেঁ দেয় উপজেলা প্রশাসন। পৌর আওয়ামীলীগকে সকাল ১০ টায় ও উপজেলা ছাত্রলীগকে দুপুর ১২ টায় র্যালি ও আলোচনা সভা করার জন্য বলা হয়। এই কর্মসূচীকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে থাকে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন সমর্থিত পৌর আওয়ামী লীগের র্যালিতে যোগদিতে আসা নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদের সামনে সরকারি ভোকেশনাল টেক্টাইল মাঠে এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মসূচীতে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে।
নির্ধারিত সময়ে বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ একটি আনন্দ মিছিল বের করে। উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে টিএনটি রোড হয়ে পাটহাটি মোড় এলাকায় আসার পর মিছিলে কে বা কারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথম দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে মিছিলটি মধ্যবাজার হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছলে দ্বিতৃীয় দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। তৃতীয় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাটি ঘটে মালিবাগ মোড়ে। এ সময় উভয়পক্ষ মারমুখী অবস্থান নিয়ে বকশীগঞ্জ-কামালপুর সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আগা সাইয়ুম ও বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমানসহ উভয় পক্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
পরে বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদের সামনে ভোকেশনাল স্কুল গেটে ও ছাত্রলীগ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা করে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান, পুলিশি তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। তার পরেও বাড়তি শতর্কতার জন্য শহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।