হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাবনার বেড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি শেষে চলছে রং-তুলির কাজ। রং তুলি দিয়ে দেবী অবয়ব পূর্ণরুপ দিতে কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে মৃৎশিল্পীদের এখন আর দম ফেলার সময় নেই। উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের মৃৎশিল্পী শশাঙ্ক পাল, মালদাহ পাড়া গ্রামের ষষ্ঠি পাল, চরপাড়া মহল্লার বিনয় পাল, পেচাকোলা গ্রামের প্রাণ গোপাল পালসহ আরও কয়েক জন প্রতিমা তৈরীতে বিশেষ পারর্দশী মৃৎশিল্পীর সাথে প্রতিমা তৈরী নিয়ে কথা হলে সবাই এখন প্রতিমা তৈরিতে খরচ বৃদ্ধির কথা জানান। রং করা এবং সাজসজ্জা শেষে আগামী বুধবারে বোধনের মধ্যে দিয়ে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য বছরের মতো আলোকসজ্জা ও গেইট নির্মাণের প্রতিযোগীতা নেই এবার। দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলার সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শারদীয়া দুর্গা পুজা উপলক্ষে প্রায় সব মার্কেটেই ভিড় জমেছে পুজার কেনাকাটার। বাড়িতে বাড়িতে নারিকেলের নাড়-,মোয়া তৈরি হচ্ছে। নারিকেলের বাজারও ছিল এ বছর উচ্চমূল্য। বড় আকারের প্রতি জোড়া নারিকেল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। আর ছোটো আকারের নারিকেল ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেড়া উপজেলা শাখার সভাপতি ভৃগু রাম হালদার জানান, এবার বেড়া উপজেলায় মোট ৪৫ টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ৫৫ টি মন্ডবে পূজা হয়েছিল মূলত করোনার কারনেই এবার ১০ টি মন্ডবে হচ্ছে না পূজা। এবারের পূজায় মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা থাকবে সারা পৃথিবীকে যেন মা দূর্গা করোনা মুক্ত করে দেয়।