কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলাচলের একমাত্র সড়কটি পাকা করার কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের আনোয়ারুল আজিমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও মন্তু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির ও হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। সড়কটি পাকা না হলে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পরিকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়ার একমাত্র সড়কটি পাকা করণে এলজিইডি অর্থ বরাদ্দ দেন। চৌদ্দগ্রাম-বাঙ্গড্ডা সড়ক থেকে স্কুল সড়কটির কাজ শুরু করে কিছুদূর যাওয়ার পর পরিকোট গ্রামের গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, হুমায়ুন কবির ও হারুনুর রশিদ সড়কটি তাদের জমির উপর দিয়ে গিয়েছে দাবী করে বাধা দিয়ে কাজটি বন্ধ করে দেয়। প্রকৃত পক্ষে ওই জমিটি পরিকোট গ্রামের হাজী আনা মিয়া মজুমদারের নামে সৃজিত বিএস চূড়ান্ত ১৫ নং খতিয়ানের ৩৬ শতক সম্পত্তির অংশ। জমিটি আনা মিয়া মজুমদারের মৃত্যুর পর তার ছেলে মাহবুবুল আলম মজুমদার মালিক ও দখলকার আছেন। পিতার অছিওত অনুযায়ী মাহবুবুল আলম মজুমদার একই গ্রামের গ্রামের আবদুল মান্নান ও আরমানকে সাড়ে ৩ শতক জমি রেজিষ্ট্রি দেন। অভিযুক্তরা এ সম্পত্তি নিজেদের দাবী করে আদালতে মামলা করলে আদালত জমির মালিক মাহবুবুল আলমের পক্ষে রায় দেন। এখন সড়কটির কাজ শুরু করলে তারা পুনরায় ওই জমি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরিকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কটি কয়েক বছর পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ ব্রিক সলিং করে দেন। ব্রিক সলিং এর স্থলে সড়কটির পাকা করণের কাজ শুরু করলে জোরপূর্বক বাধা প্রদান করে অভিযুক্তরা। তারা সড়কটি ওই অসহায় পরিবারকে দেয়া সাড়ে ৩ শতক জমির উপর দিয়ে যেতে হবে দাবী করে আসছে।
জমির মালিক মাহবুবুল আলম মজুমদার বলেন, আমার বাবার নামে বিএস খতিয়ান সূত্রে আমি জমিটির মালিক ও দখলকার। কিন্তু গত কয়েক বছর পূর্বে গিয়াস উদ্দিনসহ অভিযুক্তরা আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ জমিটির মালিকানা দাবী করে আদালতে মামলা দায়ের কারে। আদালত এ মামলায় আমার পক্ষে রায় দেয়। আমার মালিকানা জমিতে আমার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকলেও অভিযুক্তরা শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তাটির নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় কাজটি বন্ধ রয়েছে। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরিকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রণজিৎ চন্দ্র মজুমদার বলেন, স্কুলটিতে যাতায়াতে এটি একমাত্র সড়ক। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী’সহ স্থানীয়রা দীর্ঘদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখন রাস্তাটি পাকা করণের কাজ শুরু করায় যাতায়াতকারীরা অনেক খুশী। কিন্তু সড়কটির কাজে বাধাঁ দেয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কটির কাজ সমাপ্ত করতে আমি প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগীতা কামনা করছি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমি পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত গুলো লিখিত আকারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর নিকট জমা দিবো।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আশারাফুল আলম বিদ্যুৎ বলেন, এলাকাবাসী যদি জমির বিষয়টি সমাধান না করে তাহলে সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।