নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ১০। উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা নামকস্থানে স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা মিজান বাহিনীর হামলায় ছাত্রলীগের ১০ জন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতেই কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে শ্রমিকলীগ নেতা মিজান, মিঠু, মোহন, রাজন, বিপু, ডালিমের নেতৃত্বে ১৭-১৮ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা হলো- সরকারী মুজিব মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জয়, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এহসানুল হক বিজয়, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন নোমান, ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান। আহতদের কে বসুরহাট পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহত সাজ্জাদ হোসেনের পিতা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতা মোঃ হানিফ সবুজ জানান, মিজান একজন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালে স্থানীয় প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ মাওলাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মাওলা হত্যা মামলার সে প্রধান আসামী। দীর্ঘ দিন জেল খেটে এখন আবার আমাদের শান্তিপূর্ণ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেছে। আহত সরকারী মুজিব মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জয় জানান, আমরা রোববার রাতে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম সুভলের জন্মদিনে যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে মিজান বাহিনীর প্রদান মিজান সৌরভ মেম্বার, মিঠু, রাজন, মোহনের নেতৃত্বে ১৭-১৮ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ, লাঠি দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। ওদিকে এলাকাবাসী জানায়, সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শ্রমিক লীগের কয়েকজনকে আহত হয়েছে। আহরা গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় রোববার রাতে সরকারী মুজিব মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জয় বাদী হয়ে মিজানকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
এঘটনার ব্যাপারে শ্রমিক লীগ নেতা মিজানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তাকে পাওনা যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।