ছত্রাক ও মাঁজরা পোকার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবসায়ীর পরামর্শে জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করায় এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জামুন্না বগুড়াপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগি ওই কৃষকের নাম আসাদুল ইসলাম। তিনি ওই গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।
কৃষক আসাদুল ইসলাম এই বিষয়ে গতকাল রোববার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কৃষক আসাদুল দুই বিঘা জমিতে বিআর-৪৯ ধান রোপণ করেছিলেন। তার ধান পাকতেও শুরু করেছিল। কিন্তু ধান গাছে ছত্রাক ও মাঁজরা পোকার বেড়ে যায়। এসব দমন করতে উপজেলার নয়মাইল বাজারের ‘বীজ ঘর’র মালিক আবদুর রহমান ওরফে জাহিদুলের পরামর্শ নেন তিনি। জাহিদুল তাকে সিনজেনটা কোম্পানীর টিল্ট, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের মর্টার এবং ইনতেফা কোম্পানি বাতির ওষুধ দেন। আর আসাদুলকে পরামর্শ দেন এসব একসঙ্গে জমিতে প্রয়োগ করার। আসাদুল জমিতে এসব প্রয়োগ করার পরে থেকেই তার ফসল নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে তার দুই বিঘা জমির ধানই পুড়ে গেছে।
সিনজেনটা, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার ও ইনতেফা কোম্পানীর কর্মকর্তারা জানান, নয়মাইল বাজারের রাশেদ বীজ ঘর তাদের কোম্পানীর অনুমোদিত কোন ডিলার নয়। ভুল পরামর্শে একাধিক কীটনাশক এক সাথে ব্যবহার করার জন্য ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
ইনতেফা কোম্পানীর সেলস ম্যানেজার আবু সায়েম জানান, কীটনাশক বাতির মাজরা পোকা দমনের জন্য প্রয়োগ করতে হয়। ডোজ মেনে ব্যবহার করলে ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া বাজারে নকল বাতির কীটনাশকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই দিকটাও ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ী আবদুর রহমান ওরফে জাহিদুলে সাথে কথা বললে তিনি জানান, কৃষক আসাদুল ইসলামের কাছে কোন কীটনাশক বিক্রি করা হয়নি এবং তাকে কোন পরামর্শও দেয়া হয়নি। তিনি যা খুশি করতে পারেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।