বগুড়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. রবিউল ইসলাম (৩০)। তিনি শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের দড়িহাসড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের ছেলে এবং স্থানীয় বেলগাছী দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক (কৃষি)। বুধবার (২১অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ইটালী গ্রামের এক গৃহবধূকে প্রায় এক বছর ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম। কিন্তু এতে রাজী না হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান ওই গৃহবধূ। এরই জের ধরে গত ২০অক্টোবর বিকেলের দিকে এই গৃহবধূ স্থানীয় ছোনকা বাজার এলাকায় গেলে ঝাপটে ধরেন শিক্ষক রবিউল ইসলাম। পাশাপাশি তাকে দোকানঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হয়। এমনকি টানা-হেঁচড়া করে তার শরীরের কাপড় খুলে বিবস্ত্র করেন শিক্ষক রবিউল। একপর্যায়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং চিৎকার শুরু করেন। পরে বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে কৌশলে সটকে পড়েন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, এসব ষড়যন্ত্র। তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, গৃহবধূর অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তপূবর্ক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।