“শ্রীমতি দূর্গাদেবীসহ কোন দেবতাকেই মান্য করতেন না হিন্দু ধর্মের দেবতা অশুর। অশুর নিজেকেই দেবতা দাবি করে অন্য দেবতাদের হেয় প্রতিপন্ন করে থাকেন। তাই তাকে বধ করতে উঠে পড়ে লাগে তাঁর মামী ঠাকুরান দূর্গাদেবী। দুর্গা দেবী দশ হাতে ত্রিশূল, নাগ সাপ, বাঘ, খড়গ (দা) দিয়ে আক্রমণ করে ভাগিনা অশুরকে। দূর্গা দেবীর পাশে দন্ডায়মান রয়েছে- ময়ুর, লক্ষী, স্বরস্বতী,কার্তিক,গণেশ সহ অন্যান্য দেবতারা”এ কথাগুলো বললেন-পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রজাপাড়া এক প্রবীন সনাতন ধর্মালম্বী ব্যক্তি। পীরগঞ্জ উপজেলায় এবারে ৯২টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। যথাসময়ে গোটা উপজেলায় বরাবরের মতো এবারেও প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন করার পর সবগুলো মন্ডপেই পুজা শুরু হয়েছে। দলবেধে আসছেন সনাতন নারী পুরুষরা পুজা মন্ডপগুলোতে। মন্দিরগুলোতে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটিতেই আরতী দেয়া হচ্ছে। সবাই ব্যস্ত মা ঠাকুরানকে নিয়ে। সনাতন ধমাবলম্বীদের কাছে জানা গেছে,এবারে উপজেলা সদর, মাদারগঞ্জ,চতরা,খালাশপীর,ভেন্ডাবাড়ী,শানেরহাট,ধাপেরহাট,মন্ডলের বাজার পার্বতীপুরসহ বেশ কয়েকটি পুজা মন্ডপে বড় আয়োজন করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের একটি সুত্র জানায়, শুক্রবার ছিল সপ্তমী দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ,স্থাপন,সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ (সপ্তমী বিহিত পুজা প্রশন্তা),২৪ অক্টোবর শনিবার অষ্টমী দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ,কেবল মহাষ্টমী কল্পারম্ভ( মহাষ্টমী বিহিত পুজা প্রশন্তা),২৫ অক্টোবর রোববার নবমী,দুর্গাদেবীর কেবল মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পুজা প্রশন্তা, (বিহিত পুজা ও প্রসাদ বিতরন) এবং ২৬ অক্টোবর সোমবার বিজয়া দশমী (দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পুজা সমাপনান্তে বিসর্জন প্রশন্তা)। বিজয়া দশমীকৃত,কুলাচারানুসারে বিসর্জনান্তে অপরাজিতা পুজা। এবারে দেবীর দোলায় আগমন ও দোলায় গমন। উপজেলা পূজা কমিটির আহ্বায়ক সুধীর চন্দ্র রায় ও পীরগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার প্রদীপ কুমার বিশ্বাস পবিত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন-আগামী ২৫ অক্টোবর সোমবার রাত ৮ টার মধ্যেই সবগুলো মন্ডপেই প্রতীমা বিসর্জন দেয়া হবে।