বগুড়ার নন্দীগ্রামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শাহীন আলম (৩৫) নামে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। সে বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আফুছাগাড়ী গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বুড়ইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান আলী বাদী হয়ে যুবলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তুলাশন গ্রামের সোবাহান আলীর মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে দেড়বছর আগে পাশের পেংহাজারকি গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকতো। এমতাবস্থায় এক সপ্তাহ আগে স্ত্রীকে তালাক দেয় সাদ্দাম হোসেন। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদ বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহীন আলমের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল আপোষ-মিমাংশার কথা বলে মেয়ের বাবা সোবাহান আলীকে পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সে টাকা দিতে না চাইলে তাকে মারধর করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে যুবলীগ নেতা শাহীনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটন চন্দ্র চৌহান বলেন, বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। তবে কোন পদে না থাকলেও শাহীন যুবলীগ করে। এ ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয় বলেও তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, স্থানীয় জনতা শাহীনকে আটক করে রাখে। পরে ৯৯৯-এ থেকে ফোন পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।