লালমনিরহাটের ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নুরু মিয়াকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক বাণীনগর এলাকার মোঃ মজির ছেলে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরহাদ ম-ল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরহাদ ম-ল জানান, তার নেতৃত্বে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা থেকে নুরুকে গ্রেপ্তার করে কালীগঞ্জ থানায় আনা হয়।
এর আগে ওই মামলার চার নম্বর আসামি রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ১০ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানায় সাতজন অভিযুক্তসহ ১০ জনের নামে একটি মামলা করেছিল। মেয়েটির বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নে।
পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর ট্রেনে পাটগ্রাম থেকে এসে কালীগঞ্জের কাকিনা রেল স্টেশনে নেমে একটি দোকানে খাওয়ার জন্য ঢোকে ওই কিশোরী। সেখানে থাকা রকি কৌশলে তাকে আর ট্রেন ধরতে না দিয়ে ইজিবাইকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
এরপর বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে রাতে একটি সেচপাম্পের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সারারাত আরও কয়েকটি জায়গায় একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ শেষে ভোরে ট্রাকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে বাঁধ সাধে ওই কিশোরী। সকালে খোঁজ নিয়ে রকির বাড়িতে বিচার নিয়ে গেলে বাবা-মায়ের সামনে তাকে মারধরও করা হয় বলে জানা যায়। পরে সেখান থেকে স্টেশন এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় কিশোরীটি। সেখান থেকে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাটি জানায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।