বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি-দমকা বাতাসে পাকা ও আধাপাকা ধান কাদামাটির সঙ্গে লেপ্টে গেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও আশেপাশের অঞ্চলের পাকা ধান। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দাবি করছে, এতে করে আমন ধানের বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, কখনো মুষলধারে একটানা আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সেই সাথে দমকা বাতাস বইছে। এরইমধ্যে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবার এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২ শ ৪৫ হেক্টরে লাগানো হয়েছে আগাম জাতের ধান। আর ক’দিন পরই আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হবে।
কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি-দমকা বাতাসে নন্দীগ্রাম উপজেলায় সবজি ক্ষেত ও পাকা ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এই অসময়ে কার্তিকের বৃষ্টি ও বাতাসে শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসলের এমন দৃশ্যে নির্বাক কৃষক। এখন আশানুরূপ ফলন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
উপজেলার বামনগ্রামের কৃষক তীর্থ সলিল রুদ্র এ বছর ৪০ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছেন। ১৫-২০ দিনের মধ্যেই তার ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু শুক্রবারের বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে তার ২ বিঘা জমির ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। জমিতে পানিও জমে গেছে।
নামুইট গ্রামের রহমত আলী জানান, আর ৮-১০ দিন পরই তার ক্ষেতের ধান কাঁটার কথা ছিল। বৃষ্টি আর বাতাসে ধানের গাছ যেভাবে হেলে পড়েছে, তাতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে গেছে। সেইসব হেলে পড়া ধানগুলো প্রতি চারটি গোছা একসাথে হালকা করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে, যাতে ধানের গোছাগুলো পানি থেকে ওপরে থাকে। তাহলে ফলনের কোনো ক্ষতি হবে না। রোদ উঠলে ধানগাছ আবার উঠে দাঁড়াবে।