চট্টগ্রামে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাদের কে বিভিন্ন মাধ্যমে এখনো হয়রানি চলছেই। অথচ বর্তমান সরকার গ্রামাঞ্চলে দরিদ্রদের স্বাবলম্ভী করার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সরকারের ওই পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছেনা চট্টগ্রামের মাইডাস থেকে ঋণ গ্রহীতারা। তারা নানাভাবে হয়রানি শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ওই বিষয়ে একাধিকবার মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলেও মাইডাসের হয়রানি বন্ধ হয়নি। ঋণের টাকা আদায় করার জন্য চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে বেশকিছু ষড়যন্ত্রমূলক চেক প্রতারণা মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে টাকা দিতে না পেরে ভয়ে কয়েক হাজার ঋণগ্রহীতা বসতভিটাও ছেড়েছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি জনকে ১লক্ষ থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীর সীতাকু-ের নামার বাজারস্থ অফিসের ঋণ গ্রহীতার সংখ্যাই বেশি। ওই ঋণ দেয়ার সময় ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে প্রতি বছরে ১২টি স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক চেক নেওয়া হয়। পরে ঋণগ্রহীতা ব্যাংকে তাঁর নিজস্ব একাউন্টে মাসিক কিস্তির টাকা জমা দেন। সেই টাকা মাইডাস কর্তৃপক্ষ উত্তোলন করেন। এক্ষেত্রে কোন ঋণগ্রহীতা এক কিস্তির টাকাও জমা না দিলে পরবর্তীতে পূর্বালী ও এবি ব্যাংকে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে পূর্বে আদায়কৃত চেকে মাইডাস কর্তৃপক্ষ মনগড়া টাকার অঙ্ক লিখে ব্যাংকে চেক ডিজঅনার করেন। এতে ১লক্ষ পাওনা হলে ৫ লক্ষ, ৫ লক্ষ হলে ২০ লক্ষ এবং ২০ লক্ষ হলে ৮০লক্ষ টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে আদায় করার লক্ষ্যে ইচ্ছামত এসব চেক লিখে নেন তারা। অডিট অফিসারেরা গ্রাহক থেকে প্রতি লাখে ৭হাজার টাকা ঘুষও নেয়।
সূত্র জানায়, ওই টাকা আদায় করার জন্য চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে বেশকিছু ষড়যন্ত্রমূলক চেক প্রতারণা মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে টাকা দিতে না পেরে ভয়ে কয়েক হাজার ঋণগ্রহীতা বসতভিটাও ছেড়েছেন। স্বাক্ষরিত কারও কাছ থেকে ব্লাঙ্ক চেক নেয়া বেআইনী হলেও এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে এমন ধরণের হয়রানি মূলক চেক নিচ্ছেন। মাইডাসের প্রধান কার্যালয় হচ্ছে নাহার গ্রীণ সামিট, বাড়ী-৪৩, রোড-১৬(নতুন) ২৭(পুরাতন), ধানম-ি, ঢাকা। ওই বিষয়ে মাইডাসের সীতাকু- নামার বাজারস্থ অফিসের ইনচার্জ মতিয়ার মিয়া বলেন, যারা ঋণখেলাপী হয়েছেন তারা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পাহাড়তলীর কাপড় ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ সওদাঘর বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের আইজি ও দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছি।