রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এই জেলারই অন্যতম উপজেলা গোদাগাড়ী। এখানে রবি মৌসুমে টমেটোর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। মাঠ জুড়ে তাকালে দেখা মিলে টমোটের ক্ষেত। এবারের মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত ও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের কারণে টমেটো গাছের গোড়া পঁচে গিয়ে মরে যাওয়া, পাতা কুকড়িমুকড়ী হয়ে থাকা ও ফুল ঝড়ে যাওয়া রোগে ভূগছে কৃষকরা। কৃষকরা এসব কাটিয়ে উঠতে বালাই নাশক ওষুধ ব্যাবহার করেও তেমন কোন লাভ করতে পারছে না। গাছ লাগানো প্রায় দেড় হতে দুই মাস পার হলো এতোদিন গাছে ফল দেখা মেলে ও বড় হয়। এখন পর্যন্ত সেটারও মুখ দেখা যায়নি ফলে সময় মত গাছে ফুল ও ফল না দেখা দেওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতি হবে বলে জানান। তবে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পুরোদমে কাজ করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কৃষক মো: মিজানুর রহমান জানান, টানা বর্ষণের কারছে গাছের গোড়া পঁচন দেখা দিয়েছে। এতোদিনে গাছ বড় হলেও ভাইরাসের আক্রমণের কারণে পাতা কুকড়িয়ে যাচ্ছে, ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এতোদিনে ফল উঠে যাবার কথা তবুও সেই ফল উঠতে পারছেন না বলে জানান।
কৃষক মজিবুর জানান, এবার টমোতে ভাইরাস জনিত রোগ বেশী।কৃষকরা ক্ষতির মধ্যেই আছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে এসে পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানান।
টমেটো চাষী বুলবুল জানান, সাড়ে ৩ বিঘা টমেটোর আবাদে প্রায় ৭০ হাজারের বেশী টাকা খরচ করে ফেলেছে। কীটনাশক ব্যবহার করে গাছ ভালো হলেও গাছে ফুল ফুল আসেনি। এবার ফলন কমে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে জানান।
অপর চাষী সুমন জানান, অনেক কৃষকের গাছ নষ্ঠ হয়ে গেছে। এবার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কৃষি অফিস খোঁজ খবর রাখছে তারা মাঠে এসে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানান।
এসব বিষয় নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মতিয়র রহমান জানান, এখানে আমরা টমোটর জন্য পরিবেশগত গত সমস্যা মুখোমুখি হয়েছি। অধিক তাপমাত্র ও অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে রোগের প্রার্দুর ভাব দেখা দিয়েছিলো তা খুব সিরিয়াস পর্যায়ে নেই। কৃষকদের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য উঠান বৈঠক, প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ ও কৃষক সমাবেশ করে যাচ্ছি যাতে করে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সঠিক ভাবে করতে পারে।