গাজীপুরের টঙ্গী শিলমুন এলাকায় ক্যাথারসিস মেডিকেল সেন্টার লি. নামক হাসপাতালে এক প্রসূতি মায়ের পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রসূতি মাহমুদা আক্তারকে (২৬) গুরুতর অবস্থায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রোগির স্বামী বাদী হয়ে হাসপাতালের পরিচালক রুহুল আমিন ও ডাঃ আহসানা আক্তার তারাকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রোগী মাহমুদা আক্তারের স্বামী আলকাছ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গত ১৮ আগস্ট তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে টঙ্গীর শিলমুনস্থ ক্যাথারসিস মেডিকেল সেন্টার লি. নামক হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার সাথে সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নারমাল ডেলিভারির চেষ্টা না করে দ্রুত সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করার পরামর্শ দেন। অন্যথায় রোগীর অবস্থা খারাপ হবে বলে ভয়-ভীতি দেখান। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে রোগীর স্বজনরা সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করার জন্য রাজি হয়। ওইদিন বিকেলে ডাঃ আহসানা আক্তার তারা রোগীর অপারেশন করলে একটি কন্যাসন্তান ভূমিষ্ট হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গত ২০ আগস্ট প্রসূতি মা ও তার সদ্যজাত কন্যা শিশুকে নিয়ে পূবাইলের মেঘডুবি গ্রামে চলে যান। বাড়িতে যাওয়ার কিছুদিন পর সিজার অপারেশনের স্থানে ইনফেকশন দেখা দিলে পুনরায় ক্যাথারসিস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা রোগ নির্ণয় না করে শুধু ড্রেসিং করে বিদায় দেয়। এরপর মাহমুদা গত সোমবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক ডাঃ কিবরিয়া অপারেশন করে রোগীর পেটের ভেতর থেকে গজ (নেকরা) বের করেন। বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বামী আলকাছ উদ্দিন আহাম্মেদ।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ক্যাথারসিস মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ আহসানা আক্তার তারা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগীর পেটে ইনফেকশন হওয়ার পর আমাদের কাছে আসে নাই।