পটুয়াখালীর গলাচিপা ও ভোলা জেলার চরফ্যাশন সীমান্তবর্তী চর ওহাবের ধান কাটাকে কেন্দ্র করে লাঠিয়ালদের হামলায় নিহত আবুল কাসেম মৃধা হত্যার প্রতিবাদে আসামি গ্রেফতার ও বিচার এবং দুই উপজেলা সীমানা পিলার চিহ্নিত করার দাবিতে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৃহস্পতিবার মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। চর বিশ্বাস ও চর কাজল ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে পাঁচ শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে। মানব বন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রনালয়ে স্মারক লিপি পেশ করেন।
মানব বন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহীন শাহ্, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মস্তফা টিটো, হাজী মজিবুর রহমান,সরদার মো. শাহ আলম, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন, চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা, আবু বক্কর সিদ্দিক, বাকের বিশ্বাস প্রমূখ। করেন। বক্তারা লাঠিয়াল জোদদার ভোলা জেলার দুলারহাট উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের চরমোতাহার (চরমনোহার) গ্রামের মো. মহসিনকে বাহিনীসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবি জানান। একই সাথে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্বের চর বিশ্বাস মৌজার (চরওহাব) ও মুজিবনগরের সীমানা বিএস রেকর্ড অনুযায়ী চিহ্নিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, গলাচিপা-চরফ্যাশনের সীমান্তবর্তী চরওহাবের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরওহাবের কৃষকের কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেছে চরফ্যান উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের শতাধিক লাঠিয়াল জোদরারা। এতে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দিলে লাঠিয়ালদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে চরবিশ্বাসের ১৫ জন কৃষক আহত হয়েছে। আহত কাশেম মৃধা ওই রাতে মারা যায়। নিহতের ছেলে সবুজ মৃধা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ভোলা জেলার দুলারহাট উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের চরমোতাহার (চরমনোহার) গ্রামের মো. মহসিনকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ জনের নামের ২০ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।