নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে চলন্ত অবস্থায় একটি অটোরিকশা হামলা চালিয়ে (১৯) এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বখাটের হামলায় গৃহবধূর পিতা ফারুক ও রিকশা চালক ফকির আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়চারীগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার পাশ্ববর্তী ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর এলাকার ওই গৃহবধূ তার বাবা ফারুককে নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাযোগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ নানার বাড়ীতে আসছিল। সন্ধ্যায় তাদের রিকশাটি নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাও এলাকায় পৌঁছলে ওই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে বাবু (২৩) রিকশার গতিরোধ করার চেষ্টা করে। চালক ফকির না দাঁড়িয়ে চলে যাওয়ার সময় বাবু তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে রিকশা থেকে পড়ে যায় ফকির। এ সময় সে ওই গৃহবধূকে রিকশা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করলে তার বাবা বাধা দেয়। বাবু গৃহবধূর বাবাকেও মারধর করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গৃহবধূর অভিযোগ, বাবু তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তার এক সহযোগিসহ পাশ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় আরও এক যুবক তাদের সাথে এসে একত্র হয়। পরে তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তার চিৎকারে তার বাবা, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ লোকজন একত্র হলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর পিতা বলেন, আহত অবস্থায় তিনি দৌঁড়ে স্থানীয় চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উল্যাহ বিএসসিকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবগত করেন। চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।