বকশীগঞ্জে সুলতান আহম্মেদ (৩৮)নামে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার সাধারন মানুষকে হয়রানি, একাধিক বিয়ে ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সুলতান আহম্মেদের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী বকশীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্ত্রীকে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সুলতানের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ছাড়া তার কর্মকা-ে বিব্রত পুলিশ প্রশাসনও।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত ১৮ বছর আগে বগারচর গুচ্ছগ্রাম এলাকার হায়দার আলীর মেয়ে রুবি বেগমকে বিয়ে করেন বগারচর গাংছড়া এলাকার সবজল হকের ছেলে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদ। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সুলতান। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ভাবে নির্যাতন চালায় সে। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও সুলতানের কোন পরিবর্তন হয়নি। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে স্ত্রী সন্তানদের ভরনপোষন বন্ধ করে দেয় সুলতান। প্রতিবাদ করলেই থানা পুলিশের ভয় দেখায় গ্রাম পুলিশ সুলতান। গ্রাম পুলিশ সুলতানের দাপটে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। গত দুই মাস পূর্বে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই গ্রাম পুলিশ সুলতান তার শ্যালকের বিধবা শাশুড়ীকে বিয়ে করেন। এই নিয়ে প্রথম স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। গত বৃহস্পতিবার নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। রুবি বেগম ভিভোর্স দিতে অস্বীকার করলে সুলতান ও তার দ্বিত¦ীয় স্ত্রী তাকে বেদম প্রহার করে। স্থানীয়রা তাদের কবল থেকে প্রথম স্ত্রী রুবি বেগমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় শুক্রবার সুলতান আহম্মেদ ও তার দ্বিত্বীয় স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী রুবি বেগম। একই সাথে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,গ্রাম পুলিশ সুলতান এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন। তার দাপুটে আচরনে পরিবারের লোকজনসহ অতিষ্ঠ এলাকার সাধারন মানুষ।
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদ বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া অভিযোগ প্রমানিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে আমার বিচার হবে।
বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম স¤্রাট বলেন,গ্রাম পুলিশ সুলতানের প্রথম স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।