পার্বত্য লেকের কার্প জাতীয় মাছের চাহিদা সারা দেশে রয়েছে। এই মাছের উৎপাদন যাতে হারিয়ে না যায় এবং মাছের উৎপাদনের ক্ষেত্র গুলো সরজমিনে পরিদর্শন করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মাছ উৎপাদনের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। যে জালের দ্বারা মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ছোট মাছ ধরা পড়ে পোনা মাছ নষ্ট হয়, সেই জাতীয় জালের কোথায় কোন নাম রেখেছে সেটা আমাদের ভাবার বিষয় নয়। সে রকম কোন জাল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ক্ষতিগ্রস্থ জাল ব্যবহার করে সেই সকল জেলেদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। মোবাইল কোর্টে তাদের জেল হবে ১ বছর এবং জরিমানা করা হবে বলে তিনি জানান।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক-কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন বাড়াতে সঠিক গবেষণা এবং কাপ্তাই লেকে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে রাঙ্গামাটি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী উপকেন্দ্রের মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে এ সময় মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদ শুধু পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটির সম্পদ নয়। এটা পুরো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণ, দূষণ রোধ এবং দখল-দারিত্ব সব ব্যাপারে অবগত হয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব, হ্রদটিকে জঞ্জাল মুক্ত করা হবে। কারণ হ্রদটির উপর হাজার-হাজার জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিভর্রশীল। পুরো জেলার অর্থনৈতিক মূল চালিকা শক্তি হলো কাপ্তাই হ্রদ। সরকার প্রতিবছর এ হ্রদের মৎস্য আহরণ থেকে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। তাই হ্রদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হবে বলে জানান তিনি।
পরে তিনি বাংলাদেশ মৎস্য করপোরেশন ও মৎস্য অধিদপ্তর বিএফআরআইডিসির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।