পাবনার ঈশ্বরদীতে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় গৃহবধূর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ঐশির ৭ মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৫ জানুয়ারী সাহাপুর ইউনিয়নের চরআওতাপাড়া গ্রামের মাহাবুল ইসলামের মেয়ে ঐশি খাতুনের সাথে র্পাশ্বর্বতী গ্রাম আওতাপাড়া নুরজাহান স্কুল সংলগ্ন হারুন প্রামানিকের ছেলে জাহিদ হোসেনের (২৫) বিয়ে হয়।
মামলার বাদি ঐশির মা শাহানারা খাতুন তার লিখিত এজাহারে জানান, বিয়ের সময় নগদ টাকা, আসবাবপত্র নেয় জামাই জাহিদ। এরপরও যৌতুকরে জন্য ঐশিকে প্রায়ই মারধোর করতো। মেয়ের সুখের জন্য জাহিদকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা এবং ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটর সাইকেল কিনে দেয়। এরপরও নগদ আড়াই লক্ষ টাকার জন্য স্ত্রী ঐশির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে জাহিদ।
শনিবার সন্ধ্যায় আবারও টাকার জন্য ঐশির উপর নির্যাতন শুরু করে জাহিদ। এ সময় জাহিদ তার মা মরিয়ম (৫০) ভাই মকলেছুর রহমান (৩২) ও ভাবী রেশমা খাতুন (২৮) এর সহযোগীতায় পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ঐশিকে হত্যা করে। ঐশির লাশ ঘরে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। বাড়ির পাশর্^বর্তী লোকজনের নিকট থেকে খবর পেয়ে ঐশিকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃৃত ঘোষণা করন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন জানান, নিহতের লাশের ময়না তদন্তর জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।