কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জের কাঁচকোল বাজার থেকে ব্যাপারী বাজারগামী কাঁচকোল বাজার সংলগ্ন রাস্তায় গত বছরের বন্যার পানির স্রােতের তোরে বিরাট এক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচলে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে মাত্র একটি বাঁশ দিয়ে প্রায় ৩০ ফুট উপর দিয়ে ৬০ মিটার গর্ত পারাপার করছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ৫কিলোমিটার বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ফলে নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা সদরে পানি প্রবেশ করে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আবদুর রাজ্জাক (৩৫) জানান, গত ২০১৯ সালে বন্যার স্রােতে রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়ে ঘর-বাড়ি গাছপালা ভেসে যায়। সাজু মিয়া (৪৫) জানান, বিগত বন্যায় সৃষ্ট গর্ত ভরাটসহ রাস্তা সংস্কারের সরকারি কোন উদ্যোগ না নেয়ায় এবারের বার বার বন্যায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ৩ মাস স্থায়ী হয়। পূর্নীমা রাণী (৪০) জানান, এই বাঁশ দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে পা ফসকে গর্তে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। খোসাল চন্দ্র (৬৫) জানান, তিনিও একইভাবে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল জলিল জানান, রাস্তাটি পাকা করনের কাজ চলছে, তবে গর্তটি ভরাটে ব্যবস্থা না থাকায় ওই স্থানের পাকা করনের কাজ বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গত দু’বছরেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি অজ্ঞাত কারণে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কি কারণে গত দু’বছরে রাস্তাটির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কোন সদুত্তোর দেননি।