কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) গোলাম মর্তুজা ফারুখকে চেক ডিজঅনার মামলায় বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ অক্টোবর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত তহশীলদার বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে করছেন। কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তহশীলদার সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কারাগারে থাকলেও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
গোলাম মর্তুজা ফারুক কুড়িগ্রাম পৌরসভার হিঙ্গনরায় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) গোলাম ফেরদৌস জানান, ছোট ভাইয়ের অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ফারুখ তিন দিনের ছুটি নিয়ে প্রায় ১২ দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতারা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য তাকে শোকজ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত নয়।
এসিল্যান্ড বলেন,‘ ছুটির মেয়াদ শেষ হলে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে তার স্ত্রী ফোনে জানান যে গোলাম মর্তুজা ফারুখ তার ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার কাজে ঢাকায় গিয়েছেন। তার ফোন বাড়িতে রেখে গেছেন। তখন বিষয়টি আমি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে ওই তহশিলদার কে শোকজ করি। কিন্তু তার সাজা হওয়া কিংবা কারাগারে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ১৮ অক্টোবর আদালত গোলাম মর্তুজা ফারুখকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। চেক ডিজ অনারের একটি মামলায় আদালত তার এক বছরের বিনাশ্রম সাজা ও ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। তিনি বর্তমানে জেলা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে বলে জানান জেল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি জানার পর রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। তিনি বলেন,‘ এসিল্যান্ড এ ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দিলে যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ফারুখের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।