অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি ভোলাহাটে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান। উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভোলাহাট-রহনপুর মূল সড়কসহ প্রত্যন্তাঞ্চলের সড়কগুলো দখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেন এলাকার প্রভাবশালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। রাস্তার পাশে গাছ লাগানো, গরু বাধায়সহ পথচারিদের চলাচলে চরম বাধার মুখে পড়তে হতো। এসব উচ্ছেদে উপজেলা আইনশৃংখলার মাসিক সভায় বার বার ঘুরে ফিরে আসতো প্রস্তাব। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আড়াই মাস পূর্বে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান ভোলাহাটে যোগদানের পর পথচারিদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে শুরু করেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। ধারাবাহিক ভাবে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাস্তার চারেপাশ ও বীরশ^রপুর এলাকার ৮ কিলোমিটার ক্যানেল প্রস্থ্য ও পথচারিদের চলাচলে সুস্থিতর নিঃশ^াস পড়েছে। অবৈধ স্থাপনা চলমানের পাশাপাশি প্রস্থ্য রাস্তার পাশে যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা ফুলের গাছ লাগিয়ে দৃষ্টি নন্দন করতে অনুরোধ করায় এখন বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থরে থরে সাজানো হয়েছে ফুলের গাছ। বদলে গেছে ভোলাহাট উপজেলার দৃশ্যপট। একে অপরের দেখা দেখি স্বেচ্ছায় ফুলের গাছ রাখছেন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার স্কাউট দল, যুবসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নোংরা আর্বজনা পরিষ্কার কাজ অব্যহত রেখেছেন। ২ মাস পূর্বের ভোলাহাট আর এখনকার ভোলাহাটের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করে কেউ আসলে অন্য রকম ভোলাহাট নজর কাড়বে। ভোলাহাটের এমন পরিবর্তনে একটি প্রভাবশালি চক্র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কিছুটা বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ খাতুন বলেন, উপজেলাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবী ও প্রধানমন্ত্রীর শ্লোগান আমার গ্রাম আমার শহর র্নিমাণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রসংশনীয়। তাকে ধন্যবাদসহ ব্যাপক জনগোষ্ঠির কল্যাণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ভালো কাজে কিছু বাধা আসতেই পারে। সে বাধাকে অতিক্রম করে ব্যাপক জনগোষ্ঠির কল্যাণে এক সাথে ভোলাহাটের উন্নয়নে কাজ করতে চান বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন বলেন, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলাতে উপজেলার ৯০শতাংশ মানুষ খুশী। উচ্ছেদ অভিযানের সাথে সাথে দৃষ্টি নন্দন করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলের গাছ লাগায় ভোলাহা কে অপূরূপ সুন্দর দেখাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, ভোলাহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমার গ্রাম আমার শহর গড়ার শ্লোগানকে সামনে রেখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সুন্দর ভোলাহাট গড়তে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফুলের গাছ লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।