গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং কঞ্জিবাড়ী ইউনিয়নের সতিরজান শাহেরা বেগম ও তার পরিবার দীর্ঘ ২বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও বাদী পক্ষের ভয়ভীতিতে বাড়ীতে উঠতে পারেনি। অদ্যবর্তী নিজ বাড়িতে ফিরতে না পেরে তারা বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে ঘুরে ঘুরে দিন যাপন করছে। গতকাল শহরের আব্বাস উদ্দিন টাওয়ার অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা গুলো বলছিলেন শাহেদা বেগমের ছেলে শাহিন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ সকালে জমি চাষ করা নিয়ে বাদী মোজ্জাফর এর সাথে শাহিন মিয়ার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষের ০৮ জন আহত হয়। এবং উভয় পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার জের ধরে সুযোগ বুঝে বাদী পক্ষের মোজ্জাফর গংরা শাহেরা বেগমের বাড়ীটি দখল করে নেয়।
পরবর্তীতে আসামীগন জামিনে মুক্তি লাভ করে বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করলে মোজ্জাফর গংরা তাদেরকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে উঠতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে একই সালের আগস্ট মাসের ২৪ তারিখে মোজাম্মেল ও তার মা লতিফুল নেসা মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে মোজ্জাম্মেল গংরা শাহেদা বেগমের বাড়ি সহ আরো ০৫ টি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ বিয়য়ে আবদুল মোন্নাফ মিয়া বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে, যার জি আর মামলা নং ৩৫২/ ১৮। এদিকে রংপুর হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃদ্ধা লতিফুল নেসা মারা যায়। বর্তমানে আসামীগন মোজ্জাফর রহমানের দায়েরকৃত মামলা হতে জামিনে মক্তি লাভ করার পরও বাদী পক্ষের দাপটে বাড়ীতে ফিরতে পারেনি। এ বিষয়ে শাহেরা বেগম এর পরিবার তাদের নিজ বাড়িতে ফেরা সহ জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।