সিংড়ার চলনবিলে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার ও হত্যার অপরাধে চারজনকে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির যৌথ অভিযানে বিলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজন পাখি শিকারীকে আটক করা হয়। এ সময় শিকারীদের কাছ থেকে বক, রাতচড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬০টি পাখি ও পাখি শিকারের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলোকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অবমুক্ত করা হয়। পুড়িয়ে ফেলা হয় পাখি শিকারের ফাঁদ।
আটকৃতরা হল, নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষীপুর গ্রামের ফেলু প্রামাণিকের ছেলে শমসের আলী (৩৫), গুরুদাসপুরের নওপাড়া গ্রামের খয়ের উদ্দিনের ছেলে আবদুর জোব্বার (৩৪), সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিনের সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৩৫)।
পরে তাদেরকে মোবাইল কোটের মাধ্যমে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরিন বানু ও এসিল্যান্ট রকিবুল হাসান যথাক্রমে শমসের আলী ও আবদুর জোব্বার কে কুড়ি দিন করে চল্লিশ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সাইফুল ইসলাম ও ইয়াকুব আলীকে দশ হাজার টাকা করে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রভাষক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিবেশ কর্মী ও গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের ভিপি সজীব ইসলাম জুয়েল, সাংবাদিক আবদুর রশিদ প্রমূখ।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, পানি কমতে থাকায় চলনবিলে মাছ খেতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতে শুরু করেছে। আর এই সুযোগে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পাখি শিকারীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে তারা প্রতিনিয়তই চলনবিলের পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ছুটে চলেছেন।