বছরের অন্যান্য সময় অলস সময় কাটালেও শীতের আগমনে লেপের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ,তোষকের কারিগররা। দোকানের তালা খুলে বসেছেন মহাজনরা। লেপ-তোষকের কাপড়,তুলা ও সেলাই মেশিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সাজিয়ে বসেছেন লেপ, তোষক তৈরী করতে।
এবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় কার্তিক মাস থেকে পুরোদমে বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে ধূম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরীর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর, খানসামা রোড, উপজেলা রোড,পীরগঞ্জ রোড, গোলাপগঞ্জ,কবিরাজহাট,কল্যাণীহাট, ডাঙ্গারহাট,চৌদ্দহাত কালীর বাজার,সনকা বাজার, ঝাড়বাড়ীহাট,ভুল্লিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের মালিক, কারিগরসহ সহস্রাধিক লোক এ পেশায় নিয়জিত রয়েছেন।
পৌরশহরের বিজয় চত্বরের লেপ-তোষক তৈরীর কারিগর বীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়ার মৃত ইছাক খানের ছেলে আইজুল ইসলাম ও ছোট ভাই মো: ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ বছর যাবত লেপ-তোষক তৈরীর কাজ করেন। বড় মাপের লেপ তৈরী করতে কাপড় তুলা সুতা সহ খরচ পড়ে ১হাজার থেকে ১২শত টাকা, আর ছোট ৭/৮ শত টাকা। শ্রমিকের মজুরি লেপ ৩শ টাকা ও তোষক বা গদি ৪শ টাকা দিতে হয়।
আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকেন। অবশিষ্ট সময়ে কেউ কেউ অন্য পেশায় নিয়জিত থাকলেও অনেকেই বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন।ফলে মালিক শ্রমিক উভয়েরই সরকারী বা বেসরকারী পৃষ্ট পোষকতা প্রয়োজন বলে মত তাদের।