প্রথম স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে হারুন অর রশিদ নামে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ করেছেন প্রথম স্ত্রীর দাবিদার মেঘা আফরোজ নামের এক নারী।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনয়নের ভাঙ্গামোড় গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত-আক্কেল আলীর ছেলে। স্ত্রীর দাবিদার মেঘা আফরোজের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউপির ধায়ের কুটি রাজারহাট গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আজিজুর রহমান মাষ্টারের মেয়ে।
ভূক্তভোগী মেঘা আফরোজ জানান, পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ১/১/২০১৫ ইং সালে ১ম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট/নোটারী পাবলিক, ঢাকা কর্তৃক এফিডেফিটের মাধ্যমে আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আমার স্বামী হারুন অর রশিদের সঙ্গে প্রায় দুই বছর সংসার চলছিল। এরমধ্যে স্বামী হারুন অর রশিদ একজন নারী সেনা সদস্যের সঙ্গে পরোকীয়ায় আবদ্ধ হলে আমার সংসার এলোমেলো হতে থাকে।আমি স্বামী হারুনকে ওই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাই। কিন্তু এতে কাজ হয়নি।
উপায়ন্ত না পেয়ে পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে নালিশ করি। এর অলোকে ওই নারী সেনা সদস্য ও আমার স্বামী পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে এসে এসব পরোকীয়া কার্যকলাপ থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপরও আমার স্বামী হারুন অর রশিদ তার পরোকীয়া থেকে ফিরেনি।
বরং সে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে শুরু করে। পরে জানতে পারি সে আমার বিয়ে ভুয়া কাবিন নামায় রেজিষ্ট্রি করেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে আমি স্বামী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকায় ৪/১০/২০১৬, ১১৭ নং মামলা, ২০১৯ ইং এ পারিবারিক আদালত জজকোর্ট মামলা নং-৩, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে সিআর মামলা নং-৪৯২ দায়ের করি।
ভূক্তভোগী মেঘা আফরোজ আরও জানান, আমার অভিযোগ মামলায় আমার স্বামী দুই বছরেও বেশি সময় চাকুরী থেকে সাসপেন্ট থাকে। আমার মামলা বিচারধীন থাকার পরও আমার স্বামী আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে সে ৩/১১/২০২০ খ্রিঃ ওই নারী সেনা সদস্যকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছে।
এতে আমি আমার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদের কাছ থেকে স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। এ অবস্থায় আমি ন্যায্য বিচার দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, মেঘা আফরোজ আমার সম্পর্কের নাতী ছিল। আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা তার মামলা ও অভিযোগ গুলো থেকে আমি নির্দোষ প্রমানিত হয়েছি।
বিয়ে প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমার কর্মরত এলাকার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে ৩/১১/২০২০ খ্রিঃ আমি বিয়ে সম্পন্ন করেছি।