গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভুঙ্গাবাড়ী এলাকায় শনিবার ভোরে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক নারীসহ ২জন নিহত ও ৩ জন মারাত্মক আহত হয়েছে।আহতদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।নিহতদের মধ্যে মাসুদ নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানা সদরের মো:শামছুল ইসলামের পুত্র অপর দিকে নিহত নারীর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, চিলহাটি থেকে ছেড়ে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি শনিবার ভোরে কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাখালি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছে। এ সময় দ্রুতগামী একটি বাস (ঢাকাণ্ডমেট্রো-ব-১৪-৯২০৩) রেল ক্রসিং পাড় হওয়ার সময় ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের ধাক্কায় মুহুর্তে মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসটিসহ চলন্ত ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রী অজ্ঞাত (৩৭) নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং আহত মাসুদ রানা (২৭) হারুন অর রশীদ (৪০),কামরুল ইসলাম(৫২) ও মানিক মিয়া (৩০) নামে ৪ জনকে মারাত্মক আহতবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে মাসুদ রানা সেখানে মারা যায়।
এঘটনার পর সোনাখালী রেলক্রসিংয়ে ডিওটিরত লাইনম্যান মো: রিপন মিয়াকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। লাইনম্যানের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
নীলসাগর ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত চারটার দিকে সোনাখালীর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লেগে ভুঙ্গাবাড়ী এলাকায় যেয়ে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় রেললাইনের উপর গাড়ি থাকায় ভোর ৪টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ২৩মিনিট পর্যন্ত ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে লাইন ফ্রি করা হলে সকাল সাড়ে ৯টায় পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।