জামালপুরের মেলান্দহে স্কুলের হেড মাস্টার মঞ্জুরুল হক মঞ্জুকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। কর্মকর্তা ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় ৬জনকে প্রত্যক্ষ এবং ৪জনসহ ১০জনকে পরোক্ষভাবে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্যামপুর হাই স্কুলের শিক্ষক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুকে ৭নভেম্বর দুপুরে স্কুলের কক্ষে মারধর করে। বর্তমানে হেড মাস্টার মঞ্জুরুল হক মঞ্জু মেলান্দহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হেড মাস্টার মঞ্জুরুল হক মঞ্জু জানান-খলিলুর রহমান সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এবং শ্যামপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতিও। তিনি বার বার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবার জন্য লবিং করছিলেন। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী তিনি সভাপতি হতে পারেন না। তাকে সভাপতি না বানালে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের নেতৃত্বে একদল দুস্কৃতিকারি আমার অফিসে প্রবেশ করে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এরপর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার সময় তিনি স্কুলে উপবৃত্তির কাগজপত্র ঠিক করতে ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বলেন-আমি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানি না। পরে শুনেছি। যত টুকু জেনেছি, একহাতে তালি বাজে না। কমিটি গঠন নিয়ে দাতা সদস্যের পরিবারের সাথে বিরোধ। ওই হেড মাস্টারের সাথে সামাজিকভাবেও মনোমানিল্য আছে।
আবু তাহের বলেন-আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমি প্রহার করেছি প্রমান দিতে পারলে বিচার নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ মিয়া জানান-আমি ঘটনাটি অবগত হয়েছি। খোঁজখবর রাখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিব। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ ফারাজী বলেন-আমিও বিষয়টি শুনেছি।
অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠাই এবং হামলাকারিদের ঝুলানো তালা পরিবর্তন করে অন্য তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান-ঘটনার রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।