৪৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুৎ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
জানা যায়,নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বেশিরভাগ কাজ এখন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকেই করা হয়। জন্ম,মৃত্যু নিবন্ধন সনদ,ওয়ারিশ সনদ,প্রত্যায়নপত্র,ব্যাংকিং সেবা,চাকুরীর আবেদন ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিন্তু বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গত ৭ দিন যাবত তথ্যসেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মনিকা পারভীন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের কাজের খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনই অনেক মানুষ সেবা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা শাহনাজ পারভীন বলেন, ছেলের জন্য জন্ম নিবন্ধনের জন্য এসেছিলাম। বিদ্যুৎ না থাকায় ‘জন্ম নিবন্ধন’ নিতে পারিনি।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান বলেন,আমরা অনেক দিন তাদের সুযোগ দিয়েছি। গত দেড় বছরে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। বারবার তাগাদা দেয়া হলেও এতে কোনো কিছুই তারা কর্ণপাত করেনি। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বকেয়া পরিশোধ করলে সংযোগ সচল করে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়া জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম,তবু তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করে সংযোগ নেয়া হবে।