জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী স্মরনীয় করে রাখতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার” নির্মাণ এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে “মুজিববর্ষ” কর্ণার নির্মানের অংশ হিসাবে ফরিদপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঠাগার” নির্মান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এর পরিকল্পনায় সদর উপজেলা প্রশাসন এর বাস্তবায়নে এ পাঠাগার নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় অম্বিকাপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে নির্মিত এ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এসময় তার সাথে ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. আজাহারুল ইসলাম, অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ চৌধুরী বারীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে তিনি মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর বাজারে ও কৈজুরি ইউনিয়নের তুলাগ্রামে নির্মিত পাঠাগারের উদ্বোধন করেন। একই সাথে তুলাগ্রামে নির্মিত মুজিববর্ষ পার্ক এর উদ্বোধন করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন ও স্থানীয় গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
“বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার” উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আগে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে একটি করে পাঠাগার ছিল। ছেলে-মেয়েরা সেই পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তে পারত। কিন্তু এখন আর পাঠাগার নেই। ছেলে-মেয়েরা বই পড়ার সযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর সেকারনেই অনেক ছেলে-মেয়ে বিপথে চলেগেছে। অনেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়িত হয়েপড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলে চাওয়া একটাই আমাদের সন্তানেরা মানুষের মতো মানুষ হবে। আগামীদিনে আমাদের সন্তানরাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। এই পাঠাগার করার উদ্দেশ্য একটাই অবসর সময়ে ছেলে-মেয়েরা পাঠাগারে বসে বই পড়ে সময় কাটাবে। নিয়মিত ছেলে-মেয়েরা পাঠাগারে আসলে তারা আর বিপথে যাবেনা।