ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় নতুন অন্তর্ভূক্তির জন্য আবেদন করা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের পূুনরায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম (বুধবার) সম্পন্ন হয়েছে। এ তালিকায় চুড়ান্ত ভাবে স্থান পেয়েছেন ৪৪জন।
পূুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের কয়েক ধাপে সম্পন্ন হওয়া এই যাচাই কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলা পরিষদে চুড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও একই সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে তালিকাটি প্রেরন করা হয়েছে।
উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আবদুর রশিদ জানান, ২০১৭ সালে ‘ক’ তালিকাভূক্ত ৬৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চলতি বছরের ০৬মে জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন করেন।
কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমিটির সদস্য সচিব।
তিনি জানান, যাচাই-বাছাই কমিটি আবেদনকারিদের সহযোদ্ধা হিসেবে লালমুক্তি বার্তা ভূক্ত সাক্ষিদের সাক্ষ্যগ্রহণ, জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্যানো দালিলিক প্রমাণাদির প্রকাশ্য ও গোপন তদন্ত এবং গণশোনাণীর মাধ্যমে ধাপে ধাপে এই কার্যক্রম শেষ করেছি আমরা।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ঝটন চন্দ জানান, পূুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আবেদনকারি ও সহযোদ্ধা সাক্ষিদের পৃথক পৃথক ভাবে সাক্ষ্য নিয়েছি, যাতে কোন পক্ষপাতিত্ব না থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্যানো দালিলিক প্রমাণাদির প্রকাশ্য তদন্ত করেছি।
পূুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম বিষয়ে বোয়ালমারীর যুদ্ধকালিন কমান্ডার আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, এই যাচাই কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা হয়েছে, ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের, পরিচ্ছন্ন তালিকা প্রকাশের জন্য।